হঠাৎ করেই বিমা খাতের শেয়ারে অনাগ্রহ বিনিয়োগকারীদের

হাসানুজ্জামান পিয়াস: বেশ কিছুদিন থেকেই লেনদেনে দাপট দেখাচ্ছে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি, যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল এ খাতটি। ফলে টানা বেড়েছে এ খাতে তালিকাভুক্ত অধকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। তবে সম্প্রতি হঠাৎ করেই এ খাতের শেয়ারের প্রতি অনাগ্রহী হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

এদিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হওয়ায় মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান অস্বাভাবিকহারে কমে গেছে। একইসঙ্গে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদরও কমেছে। মোট লেনদেনে এ খাতটির অবদান নেমে এসেছে পাঁচ শতাংশের ঘরে। গতকালের বাজারচিত্রে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।

গতকালের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এদিন মোট লেনদেনে বিমা খাতের অবদান ছিল পাঁচ দশমিক ৭০ শতাংশ। এদিন বেশিরভাগ বিমা খাতের কোম্পানিতেই ছিল ক্রেতার আকাল। ফলে গতকাল লেনদেন হওয়া মোট ৪০টি কোম্পানির মধ্যে ৯৫ শতাংশ বা ৩৮টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, যে কারণে দিন শেষে লেনদেনে পিছিয়ে গেছে এ খাত। বিমা খাতের পর বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি। সম্প্রতি দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়া এবং সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকার কারণে এ খাতের কোম্পানিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। এর জেরে গতকাল এ খাতের প্রায় ৮৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

এদিকে গতকাল লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান দেখতে পাওয়া যায় বস্ত্র খাতের। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। বস্ত্র খাতের পর গতকাল মোট লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। দিন শেষে এ খাতের কোম্পানির মোট লেনদেনে অবদান ছিল প্রায় ১৩ শতাংশ।

এদিকে ঈদুল আজহার ছুটির পর থেকে সূচকের টানা পতন দেখা গেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক হ্রাস পায় ১৪ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচক স্থির হয় ছয় হাজার ১৩৮ পয়েন্টে। তবে এর আগের

কার্যদিবসে ডিএসইর লেনদেন তলানিতে পৌঁছালেও গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেনও বাড়তে দেখা যায়। দিন শেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৬৬৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার, যার মধ্যে ২৯ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০