সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

হঠাৎ করে উত্থানের প্রচেষ্টা বর্তমান সময়ের বড় ব্যাধি

নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, হঠাৎ করে উত্থানের প্রচেষ্টা বর্তমান সময়ের বড় ব্যাধি। অনেকেই শর্টকার্ট উপায়ে এগোতে চায়। কেউ গ্রুপ অব কোম্পানিজের মালিক হতে চায়, কেউ কোটি টাকা আয় করতে চায়, আবার কেউ দ্রুততার সঙ্গে চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী হতে চায়। হঠাৎ বড় হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় সম্পদ আহরণে সবাই ব্যস্ত। এ প্রবণতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মাইন্ড সেটআপ পরিবর্তন করতে হবে। ঐকান্তিক ইচ্ছা, গভীর মনোনিবেশ, অধ্যাবসায় ও নিরলস প্রচেষ্টা থাকলে সাফল্য আসতে বাধ্য।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তর মিলনায়তনে গতকাল জাইকা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সুশাসন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং সভাপতিত্ব করেন জাইকা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মোজ্জাম্মেল হক খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জাইকা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জাইকা এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্যরা এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চাকরিজীবী সবাই সততা অবলম্বন করছেন তা নয়, আবার সিস্টেম একেবারে স্বচ্ছ তাও সঠিক নয়। টেন্ডার পদ্ধতি ও ঠিকাদারদের কাজের পদ্ধতির কারণে প্রকৌশলীরা ভয় পেয়ে ফাইলে হাত না দিলে উন্নয়ন আটকে যাবে। তাদের ভয় যুক্তিসংগত। আমরা কাজের পদ্ধতিকে এখনও হালনাগাদ করতে পারিনি। কাজেই কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হবেই। তবে দেখা উচিত, এ বিচ্যুতি ইচ্ছাকৃত না প্রয়োজনের তাগিদে। এখন কাজের পদ্ধতি এমন যে, নিয়ম প্রতিপালনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার সুযোগ না দিয়ে জোর করলে প্রকৌশলীদের কিছুই করার থাকে না। পদ্ধতির কারণে কাজে ব্যত্যয় ঘটলে সামান্য ত্রুটির জন্য প্রকৌশলীরা যদি হয়রানির শিকার হন, তাহলে তাদের কর্মোদ্যম ও মানসিকতা ভেঙে যাবে। এ কারণে উন্নয়নের মহাসোপানে অবকাঠামো উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সিস্টেমের পরিবর্তন করতে হবে।’

অহেতুক, তথ্যহীন সংবাদের ভিত্তিতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য মন্ত্রী দুদক কমিশনারকে অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেউ অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে তাদের ছাড় দিতে রাজি নই। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। কিন্তু কেউ অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার যেন না হয়, সেটা দেখতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা সব সময় সহযোগিতা করতে চাই।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণপূর্ত সচিব বলেন, ‘জনকল্যাণে সুশাসন রাষ্ট্র ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুশাসনের মধ্যে জবাবদিহি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গণপূর্ত অধিদপ্তর সবার আগে শতভাগ ই-জিপিতে টেন্ডার কার্যক্রম শুরু করেছে। ফলে নিশ্চিত হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি। এ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। নিজেদের মধ্যে আত্মশুদ্ধি থাকতে হবে।’

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০