হবিব উল্লাহর মাজার

হবিগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ হবিব উল্লাহ।  হবিগঞ্জের জনকের নাম কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে।  জেলা শহরের দক্ষিণে সুলতানসি হাবেলিতে তার মাজারে এপিটাফ রাখা হয়নি।  নেই কোনো সাইনবোর্ড।  উপরন্তু তার মাজার ঘিরে তারই উত্তরসূরিদের বেশ কয়েকটি মাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

জানা যায়, সিলেটের হজরত শাহজালালের অনুসারী ও সুলতানসি হাবেলির প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সুলতানের উত্তরসূরি হবিব উল্লাহ।  হবিগঞ্জের অন্যতম নদী খোয়াই তীরে একটি বাজার বা গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।  হবিব উল্লাহ এ ‘গঞ্জ’টি প্রতিষ্ঠা করায় তার নামের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয়রা তার নাম দেন ‘হবিবগঞ্জ’।  কালের পরিক্রমায় ‘হবিবগঞ্জ’ থেকে ‘ব’ অক্ষরটি বাদ পড়ে। ‘হবিগঞ্জ’ শব্দটি টিকে থাকে।

হবিব উল্লাহর মাজারে যাওয়ার জন্য দক্ষিণে শায়েস্তাগঞ্জের পথ ধরতে হয়। ধুলিয়াখাল বাজারে এসে পূর্বদিকের ধুলিয়াখাল-মিরপুর রোডের কিছু দূর এগোলে খোয়াই নদীর ব্রিজ। ব্রিজ পেরিয়ে হাতের ডানে মশাজানের দিঘি। বিশাল এ দিঘির নির্দিষ্ট কর্ণধার নেই। মশাজান পেরিয়ে বাম দিকে রাস্তা ধরে কিছুদূর এগোলে ডানে সুলতানসি হাবেলি। বিশাল এক পুকুরপাড়ে তিনটি বিশাল ঘরে সারি সারি মাজার। হবিব উল্লাহর মাজার মাঝের ঘরটিতে।

পুকুরের কোণায় তার মাজারের তিন দিক ঘিরে আরও অনেককে সমাহিত করা হয়েছে। দু’পাশে গড়া হয়েছে মাজার ভবন। হবিগঞ্জে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠাতার স্মৃতি রক্ষায় কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। কেবল জেলা তথ্য বাতায়নে এই সুলতানসি হাবেলির আলোচনায় হবিব উল্লাহর নামটি উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলা তথ্য বাতায়নে উল্লেখ রয়েছে, হবিব উল্লাহর প্রতিষ্ঠা করা হবিবগঞ্জ উপজেলায় রূপান্তরিত হয় ১৮৬৭ সালে। তবে ঠিক কোন বছর ‘গঞ্জ’ প্রতিষ্ঠা করেন, তার উল্লেখ নেই। ১৮৭৮ সালে মহকুমায় রূপান্তরিত হয় হবিগঞ্জ। ১৯৬০ সালে সার্কেল অফিসারের (উন্নয়ন) অফিস স্থাপিত হয় এখানে। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ হবিগঞ্জ উন্নীত হয় জেলায়।

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০