Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 3:10 am

হরতালের প্রভাবে পর্যটক শূন্য কক্সবাজার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে এখন চলছে পর্যটনের ভরা মৌসুম। এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আতঙ্কে কক্সবাজার ছেড়েছেন পর্যটকরা। এতে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে এই অবস্থা চলমান থাকলে পর্যটন খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর: ঢাকা পোস্ট। 

কক্সবাজারে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। তার মধ্যে অভিজাত হোটেল রয়েছে ৩০টির বেশি। গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণার পর থেকে কক্সবাজার ছেড়েছেন পর্যটকরা। একই সঙ্গে অগ্রিম বুকিংও বাতিল করা হয়েছে।

গতকাল রোববার বেলা ১০টায় সুগন্ধায় গিয়ে দেখা যায়, খাবার রেস্তোরাঁ ও হোটেলেগুলোয় স্বল্পসংখ্যক পর্যটক দেখা গেলেও অধিকাংশ হোটেল পর্যটন শূন্য। হকার ও ফটোগ্রাফাররা বেকার সময় পার করছেন।

এদিকে সকাল থেকেই শহরে তেমন গণপরিবহন চলাচল করেনি। অনেকক্ষণ বিরতি দিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি গণপরিবহন বাস স্টেশনে থামতে দেখা যায়। তবে গণপরিবহন না থাকলেও ছোট যানবাহন চলাচল করছে রাস্তায়। কলাতলী ও টার্মিনাল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কক্সবাজার কলাতলী ওয়ান্ড বিচ হোটেলের কর্মচারী রফিক বলেন, প্রতিদিন সকালে কলাতলী মোড়ে শত শত বাস পর্যটক নিয়ে আসত। কিন্তু আজ একদম ব্যতিক্রম। কোনো পর্যটকের বাস নেই। এতে কক্সবাজার পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। হরতাল ঘোষণার পর থেকে হোটেলের অনেক অগ্রিম বুকিং বাতিল হয়ে গেছে।

কক্সবাজার হোটেল সী গাজীপুর রিসোর্টের পরিচালক জব্বার বলেন, হরতালের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অনেক পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন। যদি হরতাল অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

এদিকে গতকাল ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে হরতালের সমর্থনে কক্সবাজারে শহরের হলিডে মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে জেলা বিএনপি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পুরো কক্সবাজারবাসী। হরতালকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে জেলা বিএনপির কার্যালয়সহ শহরের আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, আন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার। তবে হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে, এমন কিছু মেনে নেয়া হবে না। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে পুলিশের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান থাকবে।