নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোয় উৎপাদিত আদা, হলুদ, কাজুবাদাম, কমলাসহ বিভিন্ন অর্গানিক কৃষিপণ্য আমদানি করবেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ওইসব পণ্য জাপান-নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হবে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে। এতে করে উভয় দেশই লাভবান হবে। গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
রাজধানীর রিজেন্সি হোটেলে আয়োজিত ‘নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ হর্টিকালচার অ্যান্ড ট্যুরিজম এক্সিম কনক্লেভ’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ভারতীয় সংস্থা নর্থ ইস্ট ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ অর্গানিক প্রডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। হর্টিকালচার ও উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটন খাতে উপ-আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় অনুসন্ধানের লক্ষ্যে সেমিনার আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশের প্রাণ গ্রুপ, অ্যালাইড ফুড এক্সট্রাক্টস, সিনধিয়া এন্টারপ্রাইজসহ প্রায় ৬০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুর রাজ্জাক বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যে ভেজালমুক্ত এবং শতভাগ জৈবসার ব্যবহার করে কৃষিকাজ করা হয়। ফলে সেখানকার পণ্যগুলো নিরাপদ ও অর্গানিক। বাংলাদেশে ওইসব পণ্য আমদানি করা এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশে রফতানির উদ্যোগ নিতে সরকারি তরফ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, সুদূর অতীত থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত ছিল। সেই যোগাযোগকে পুনরায় গতিশীল করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য উভয় দেশের সীমান্ত ব্যবসার জন্য উদারীকরণ করা হচ্ছে এবং বাণিজ্যবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। ওইসব অবকাঠামো ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের হর্টিকালচার ও পর্যটন খাতে যোগাযোগ বৃদ্ধি হতে পারে।
নর্থ ইস্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ভানু প্রতাপ সিংয়ের সঞ্চালনায় এ সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেনÑ মেঘালয়ের কৃষি বিভাগের পরিচালক আইবান সেওয়ার, মণিপুর রাজ্যের পর্যটনশিল্পের ব্যবস্থাপক দিমিত্রি লাইশ্রাম, মিজোরাম রাজ্যের হর্টিকালচার বিভাগের উপ-পরিচালক মানথিয়াংগা, আসামের হর্টিকালচার বিভাগের পরিচালক পিকে হাজারিকা, বাংলাদেশ অর্গানিক প্রডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মোহাম্মদ হারুন প্রমুখ।
মোহাম্মদ হারুন বলেন, শিগগিরই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোয় উৎপাদিত আদা, হলুদ, কাজুবাদাম, কমলা, আনারসসহ অনেক খাদ্যপণ্য এবং কৃষিপণ্য বাংলাদেশে আমদানি ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশে রফতানি শুরু হবে। এতে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে তিনি মত দেন।