প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি: হাইকোর্টের নির্দেশে পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, রামগড় ও গুইমারা উপজেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ছয় ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এ সময় এসব ইটভাটার সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করাসহ চিমনি ও চুল্লি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার পৃথক অভিযানে রামগড়ের জনতা ব্রিকস ও মেঘনা ব্রিকস-২, মাটিরাঙ্গার এসআরটি ব্রিকস ও গুইমারার মদিনা ব্রিকস ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রামগড়ের ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একই সময় মাটিরাঙ্গার হাতিয়াপাড়া এলাকায় এসআরটি ব্রিকস ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মাটিরাঙ্গার ইউএনও ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তৃলা দেব। অভিযানকালে হাইকোর্টের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করায় এসআরটি ইটভাটার সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করাসহ চিমনি ও চুল্লি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া গুইমারা বাইল্যাছড়ি এলাকায় অবৈধভাবে পরিচালিত মদিনা ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন গুইমারার ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ। অভিযানকালে ইটভাটার চিমনি ও চুল্লি ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি বুলডোজার দিয়ে ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
মাটিরাঙ্গার ইউএনও তৃলা দেব ও রামগড়ের ইউএনও খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় ইটভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে আবার ইটভাটা চালু করার চেষ্টা করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মহালছড়ির দুটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এ সময় এসব ইটভাটার সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়। খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের সব অবৈধ ইটভাটা ছয় সপ্তাহের মধ্যে ধ্বংস করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।