Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 11:51 am

হাইডেলবার্গ সিমেন্টের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের প্রতিষ্ঠান হাইডেলবাগ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ১৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ২০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২১ টাকা ৭৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৮ মে বেলা সাড়ে ১০টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২ এপ্রিল।

এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১৩ পয়সা (লোকসান)। আর ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা ৪১ পয়সা, আর ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৬০ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা (লোকসান), আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ৬৮ টাকা ১০ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২৮২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৩ হাজার ৫৯০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৬ দশমিক ০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ বা ১৬ টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৪৫ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর ২৪১ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৬৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। দিনজুড়ে এক লাখ ৫১ হাজার ৪০টি শেয়ার মোট এক হাজার ৬৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৭৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৩৪৯ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।