শেয়ার বিজ ডেস্ক: হাইতির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিরাগোয়ানে রাস্তায় একটি ট্যাংকার ট্রাক ফুটো হয়ে চুয়ে পড়ছিল জ্বালানি তেল। সেই তেল সংগ্রহের চেষ্টা করছিল একদল মানুষ। এমন সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে ট্যাংকারে। তাতে এ পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর: রয়টার্স।
হাইতির বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান ইমানুয়েল পিয়েরে জানিয়েছেন, মিরাগোয়ানে বিস্ফোরণে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদের শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, দিনের শুরুতে মৃতের সংখ্যা ১৬ জন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু উদ্ধারকারীরা বিস্ফোরণস্থলের কাছে আরও কয়েকটি পোড়া মরদেহ খুঁজে পাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। আহতদের মিরাগোয়ানের সেন্ট থেরেসে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বন্দর শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। পরে গুরুতর আহত ছয়জনকে পোর্ট-অ-প্রিন্সের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও ১৩ জনকে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তাদের দেহের ৮০ শতাংশের বেশি পুড়ে যাওয়ায় পরিবহন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ কারণে আপাতত মিরাগোয়ানের হাসপাতালেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরই মধ্যে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল। বছরের পর বছর ধরে চলা অস্থিতিশীলতায় জর্জর একটি দেশ হাইতি। তাদের রাজধানী কার্যত অপরাধী চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ক্যারিবীয় দেশটিতে বিরল সফরে গিয়েছিলেন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেসময় তিনি সাড়ে চার কোটি ডলার অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন এবং নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। ২০১৬ সালের পর থেকে হাইতিতে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সেই সঙ্গে রয়েছে চরম দারিদ্র্য এবং সন্ত্রাস। শুধু চলতি বছরেই ক্রিমিনাল গ্যাংদের কারণে সেখানকার হাজার হাজার মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
হাইতির ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক পিয়ের এসপেরাঁস জানিয়েছিলেন, দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা বিভিন্ন ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ চলে। এসব গ্যাং প্রায়ই পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।