শেয়ার বিজ ডেস্ক; হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে অপরাধীদের অতর্কিত হামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। দেশটির পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে সর্বসাম্প্রতিক হামলা এটি। কর্তৃপক্ষের মতে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত অপরাধী চক্রের হামলায় প্রায় ২৪ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।
পোর্ট-অ-প্রিন্সের দক্ষিণে অবস্থিত থমাসিন নামের একটি অভিজাত এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে ‘টি মাকাক’ নামে একটি অপরাধী চক্র। টি মাকাক-এর অর্থ ছোট বানর।
হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং শোক প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের পর অপরাধী চক্রগুলো দেশটি দখলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পার্শ্ববর্তী লাবোলে এলাকায় আরও তিন কর্মকর্তাকে হত্যার জন্যও দায়ী করা হয় টি-মাকাকা অপরাধী চক্রকে। এছাড়া গত বছর সে এলাকার দুই সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করার পর তাদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। খুন করা হয় একজন সাবেক সিনেটর ও তার ভাগ্নেকে।
গত মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় কমপক্ষে ৫৩১ জনকে হত্যা এবং ২৭৭ জনকে অপহরণ করার জন্য অপরাধী চক্রগুলোকে দায়ী করা হয়। জাতিসংঘের মতে, এক কোটি ১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার দেশে এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
জাতিসংঘের অনুমান, এখন পোর্ট-অ-প্রিন্স এবং এর আশপাশের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে অপরাধী চক্রগুলো। অপরাধ, সংঘর্ষ ও আন্দোলনের কারণে হাইতির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থবির। ব্যাহত হচ্ছে খাদ্য, জ্বালানি ও পানির মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ। এসব কারণে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে দেশটির হাজারো মানুষ। আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি তীব্র রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংকট মোকাবিলা করছে।