হাওরের ৯৭ শতাংশ ধান উঠেছে কৃষকের ঘরে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক মাস খরতাপের পর আকাশে কালবৈশাখীর মেঘের আনাগোনার মধ্যেই হাওরের নিম্নাঞ্চলের বোরো ধান কাটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গতকাল রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাওরের ৯৭ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। ফলে এবারের মতো আগাম বৃষ্টির কবল থেকে রক্ষা পেল দেশের নিচু অঞ্চলের বোরো ধান।

এ বছর সাতটি জেলায় (সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া) শুধু হাওরে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আর সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে।

গেল এপ্রিল মাস অনেকটাই বৃষ্টিহীন কেটেছে। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা ও দিনরাতের উষ্ণতা গত পাঁচ দশকের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। গরমের কষ্ট থেকে বাঁচতে সারাদেশে মানুষ বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা শুরু করলেও হাওরের মানুষ চেয়েছিল, ধান কাটার আগে যেন বৃষ্টি শুরু না হয়।

হাওরের ফসলকে ঝুঁকিমুক্ত করতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। পাকা ধান যাতে দ্রুত কৃষকের ঘরে তোলা যায়, সেজন্য সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওরের কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দিচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হাওরভুক্ত ৭টি জেলায় এবার ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলেছে। এর মধ্যে এ বছরই নতুন ১০০টি কম্বাইন হারভেস্টার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দেশের অন্য এলাকা থেকেও হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বেশি। এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ২২ লাখ টন।

সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি যোগান দেয় বোরো ধান। সেজন্য বোরো ধানের আবাদ বাড়াতে ২১৫ কোটি টাকার বীজ, সার প্রভৃতি কৃষকদের বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০