নিজস্ব প্রতিবেদক: হাওর এলাকায় আর নতুন করে রাস্তাঘাট করা যাবে না। যদি করতে হয়, তাহলে এলিভেটেড সড়ক (উড়ালসড়ক) করতে হবে। এমন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে, হাওর এলাকায় কোনো রাস্তাঘাট আর করা যাবে না। করতে হলে এলিভেটেড সড়ক করতে হবে। এ ছাড়া যেসব রাস্তা হয়েছে, সেখানে আধা কিলোমিটার পরপর ১৫০ থেকে ২০০ মিটারের সেতু করে দেয়া যায় কি না, সেটিও দেখতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেতু আছে, তারপরও সার্ভে করতে বলা হয়েছে। সড়কের কারণে যদি কোথাও পানি আটকে যায়, তাহলে আধা কিলোমিটার বা যৌক্তিক দূরত্বে সেতু করা যায় কি না, সেটা বিবেচনা করতে হবে। হাওর এলাকায় আগাম বন্যা পরিস্থিতি এবং ধানের ক্ষতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বছরে প্রায় পাঁচ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয় ওইসব এলাকায়। কিন্তু ১ থেকে ৬ এপ্রিলের মধ্যেই এক হাজার ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওপর থেকে পানি চলে এসেছে। প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। আজও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। নতুন করে ভারী বৃষ্টি না হলে হাওর ভালো অবস্থায় থাকবে।
হাওরে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মোটামুটি সব ধান কাটা হয়ে যায় বলে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এদিকে একটু দেরিতে হয়। হাওরে এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের প্রথমেই পানি চলে আসে, এটা আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আগামী আট থেকে ১০ দিন যদি বৃষ্টি না হলে আশা করা যায় বড় কোনো ক্ষতি হবে না।
