সীমান্ত জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক স্থান ও বিনোদনস্পটের শেষ নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বলা হয় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী।
যা দেখবেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোল্লাপাথর শহীদ সমাধিস্থলে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকের শহীদদের সমাধি আছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় এ সমাধিস্থল। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বেশকিছু নিদর্শনও দেখতে পাবেন। এছাড়া লক্ষ্মীপুর শহীদ সমাধিস্থল, জয়কুমার জমিদার বাড়ি, গুনয়াউক বাগানবাড়ি, টিঘর জামাল সাগর দিঘি, গঙ্গাসাগর দিঘি, এমপি টিলা, কারাছড়া চা বাগান, হাতিরপুল প্রভৃতির টানে পর্যটকরা আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। চাইলে আপনিও গায়ে লাগিয়ে আসতে পারেন তিতাসের হাওয়া।
যেভাবে যাবেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভ্রমণে রেলপথ আরামের, স্বস্তিরও বটে। সময়ও কম লাগে। ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নির্দিষ্ট কোনো ট্রেন না থাকলেও চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালী রুটের ট্রেনগুলোয় চড়ে নেমে যেতে পারবেন এ শহরে। মহানগর প্রভাতী, মহানগর গোধূলী, উপকূল, পারাবত, তূর্ণা-নিশিতা, তিতাস কমিউটার, কর্ণফুলী, নাছিরাবাদ, সিলেট মেইল, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী এক্সপ্রেস, সুরমা মেইল প্রভৃতি ট্রেনে চড়তে পারেন। শ্রেণিভেদে ভাড়া ১৬৫ থেকে ৪৯০ টাকা। তিতাস কমিউটার আখাউড়া থেকে ঢাকা চলাচল করে। ভাড়া মাত্র ৭০ টাকা।
সড়কপথেও ঘুরে আসতে পারেন। কমলাপুর ও সায়দাবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী প্রধান প্রধান পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে। এর মধ্যে তিশা, সোহাগ, তিতাস ও বিআরটিসির যাত্রীসেবা উন্নতমানের। একই সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে অন্যান্য কিছু পরিবহনও ছেড়ে যায়। প্রতিটি পরিবহনে এসি ও ননএসি সার্ভিস চালু আছে। সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা অবধি ১৫-৩০ মিনিট অন্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এসব বাস। এসি ও ননএসি উভয় গাড়ির ভাড়া শুরু ২০০ টাকা থেকে।
যেখানে থাকবেন
থাকার জন্য জেলা পরিষদ ডাকবাংলোগুলো রয়েছে। এর পাশাপাশি কয়েকটি ভালো মানের হোটেল রয়েছে। ধানসিঁড়ি, নাইন স্টার আবাসিক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, অন্বেষা, নিরাপদ, রহমান, নাজ, চন্দ্রিমা, মুক্তা, বলাকা, স্টার, মার্লিন রেস্টহাউজ, সাগর, সৈকত, বলাকা হোটেলের সেবা বেশ ভালো।
যা খাবেন
হোটেলেই পেয়ে যাবেন দৈনন্দিন খাবার। কয়েকটি রেস্টুরেন্টও রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ফিরে আসার সময় নিয়ে আসতে পারেন ছানামুখী।
Add Comment