নিজস্ব প্রতিবেদক: কাগজ ও মুদ্রণশিল্প খাতের কোম্পানি হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া ও মো. গোলাম মোস্তফা শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া ও মো. গোলাম মোস্তফা প্রত্যেকে দেড় লাখ শেয়ার বর্তমান বাজারদরে বিক্রি সম্পন্ন করেছে।
কোম্পানির মোট এক কোটি ৯০ লাখ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ২১ শতাংশ ও বাকি ৩৪ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৫১ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৩ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ১৮ হাজার ৩৪২টি শেয়ার ৮১৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৬৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৭৪ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা সাত পয়সা। ওই সময় মোট লোকসান করেছে দুই কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে তিন শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৪৩ পয়সা। ওই সময় মোট লোকসান করেছে এক কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৯ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৩৫ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৬ টাকা সাত পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা ২২ পয়সা (লোকসান)।
