হাজারের পরিবর্তে ৩৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিলেও ৩৫০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি পত্র পেয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি। এর আগে চলতি বছরের ২ মে এক হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদন চাইলে ৩৫০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে অনাপত্তি (এনওসি) দিয়েছে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চতুর্থ মুদারাবা সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডটি সাত বছর মেয়াদি এবং প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক কুপন বিয়ারিং নন-কনভার্টেবল সম্পূর্ণ পরিশোধযোগ্য এবং ফ্লোটিং রেটের চতুর্থ মুদারাবা সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডটি টায়ার-২ মূলধন হিসেবে ইস্যু করা হবে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ১১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা, আগের বছরের একই সময় যা ছিল ১৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ১৯ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা। ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৬ টাকা ১৫ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ৯৪ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৫ পয়সা (ঘাটতি)।

এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি আড়াই শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৯৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ৩ টাকা ৭৩ পয়সা।

ব্যাংক খাতের এই কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির এক হাজার ৫০০ কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১১৫ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১১৫ কোটি ৫৮ লাখ ৪২ হাজার ৩০৮টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০