প্রতিনিধি, চাঁদপুর: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আপন সহোদরের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় হাজীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারী (নাজির) ইব্রাহীম খলিল বাবুকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনার সোহাগের ভাই রহমান উল্লাহ বাদী হয়ে ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় গত ১২ জুলাই একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার জামিন চাইতে গেলে ইব্রাহীম খলিল বাবুর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতিপক্ষ সহোদর সেলিম খানের সন্তানদের পক্ষে ইব্রাহিম খলিল বাবুর বিরুদ্ধে এলাকায় মানববন্ধন করেছেন এলাকার লোকজন।
অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি (পূর্ব) ইউনিয়নের নারিকেলতলা নোয়াবাড়ীর সেলিম খানের (৬০) সঙ্গে ইব্রাহিম খলিল বাবুর জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে উভয়ের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিবাদ ও মামলা-হামলার ঘটনা ঘটে। ওই বিরোধ মীমাংসার জন্য গত সোমবার সকালে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য সালিশিরা ইব্রাহিম খলিলের ওই বাড়িতে যান। সালিশিরা দু’পক্ষের কথা শোনেন ও দলিলপত্র পর্যালোচনা করেন। দু’পক্ষের চলমান বিরোধের স্থায়ী মীমাংসার জন্য চেয়ারম্যান একটি প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাব ইব্রাহিম খলিল প্রত্যাখ্যান করে সালিশিদের অপমান করে তার ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এতে চেয়ারম্যান ও সালিশিরা সেখান থেকে চলে আসেন। সালিশি চলে যাওয়ার পর দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে। এরই সূত্র ধরে বেলা ৩টা নাগাদ ইব্রাহিম খলিল ও তার ছেলে জয়ের নেতৃত্বে বাইরে থেকে অপিরিচিত একদল যুবক রড, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে।
পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে সেলিম খানের ছেলে রহমান উল্লাহ ৯৯৯-এ কল দিয়ে ফরিদগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবগত করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার প্রায় ১০ মিনিট আগেই ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে একদল যুবক রহমান উল্লাহর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এতে রহমান উল্লাহ ও তার ছোট ভাই মো. সোহাগ গুরুতর আহত হন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
প্রসঙ্গত, ইব্রাহিম খলিল বাবুর বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে ভূমি সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।