Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 6:51 pm

হাজীগঞ্জ-রঘুনাথপুর সড়ক খানাখন্দে ভরা

বেলায়েত সুমন, চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীন ও ব্যস্ততম হাজীগঞ্জ আরএইচডি রঘুনাথপুর জিসি সড়কটির এখন বেহাল দশা। কয়েক বছর ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় হাজীগঞ্জ থেকে সুহিলপুর বাজারের উত্তর অংশ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই ও ইট-সুরকি উঠে গিয়ে বড় গর্ত ও খানাখন্দ হয়েছে। ফলে সড়কটি দিয়ে চলাচলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছেন। সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হলেও কেউ সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, হাজীগঞ্জ-রঘুনাথপুর (রোড কোড-৪১৩৪৯২০০৩) সড়কের রেললাইনের উত্তর অংশে কাজিরগাঁও থেকে সুহিলপুর বাজার পর্যন্ত শত শত ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দ রয়েছে সড়কটিতে। প্রায়ই এখানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানবাহন উল্টে পড়ে।

অনেক ইজিবাইক চালক জানিয়েছেন, এটি কোনো সড়ক নয়, মরণফাঁদ। কেউ মানুষের দুর্গতি দেখে না। প্রায়ই এ সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটি শিগগির মেরামত করতে   সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেয়ার জন্য দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে সুহিলপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আশেক আলী জানান, খানাখন্দের কারণে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বিভিন্ন যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। এতে অনেকে আহত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত।

এ সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আবুল কাশেম মিয়া জানান, ‘বড় কষ্টে আছি ভাই। এটি সড়ক নয় যেন মরণফাঁদ। কেউ এ সড়কের খবর নেয় না। সারাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। অথচ এই সড়কের কেউ খোঁজ নেয় না।’

স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সড়কে ছোট-খাটো খানাখন্দ তৈরি হওয়ার পর স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ গ্রামীণ সড়কগুলো রিপেয়ার করেন না। এমনটাই দেখে আসছি বেশিরভাগ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের ক্ষেত্রে। এ সড়কের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। রিপেয়ার করে দিলে আরও দু-তিন বছর এ সড়কে চলাচল করতে অসুবিধা হতো না। রাস্তায় কার্পেটিংয়ের তিন-চার বছর পর রিপেয়ার না করে নতুনভাবে রাস্তা তৈরির প্রাক্কলন পাঠানো সরকারি টাকা আত্মসাতের অপকৌশল ছাড়া কিছু নয়। একটা গ্রামীণ সড়ক কার্পেটিং করার তিন-চার বছরের মধ্যে একবারও রিপেয়ার করা হয় না কেন? তিন-চার বছরে রাস্তার বেহাল দশা হয়ে যায় শুধু রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কারণে। এর দায় কোনোভাবে এড়াতে পারে না স্থানীয় সরকার প্রকৌশলের সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের হাজীগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল হক শেয়ার বিজকে বলেন, রাস্তায় কাজ করার সব প্রক্রিয়া চলমান। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে। নতুন করে পুরো রাস্তার কার্পেটিং হবে। প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে হেড অফিসে।