ক্রীড়া প্রতিবেদক : ক্যারিয়ারের শুরু থেকে চোটের সঙ্গে লড়ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তারপরও কখনও ভেঙে পড়েননি তিনি। বারবারই দৃঢ় মনোবল নিয়েই ফিরেছেন। গত পরশু অবশ্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালীন ফিল্ডিংয়ের সময় হাতে আঘাত পান তিনি। অবস্থা খুব বেশি সুবিধার নয়। যে কারণে বাঁ হাতের তালুতে তার পড়েছে ১৪টি সেলাই। তবুও ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক আজ এ টুর্নামেন্টের শেষ চারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি খেলতে চান।
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে গত পরশু মেহেদী হাসানের করা ১১তম ওভারে রাইলি রুশোর ক্যাচ কাভারে ঝাঁপিয়ে তালুবন্দি করতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু পারেননি। উল্টো বাঁ হাতের তালুর অনেকটা কেটে যায় ঢাকা প্লাটুন অধিনায়কের। রক্তাক্ত হাত নিয়েই মাঠ থেকে বের হন তিনি। এরপর হাতে ১৪টি সেলাই পড়ে তার। ঠিক সে সময়ই মাশরাফি নাকি জোরালো কণ্ঠে বলেছেন, ‘পরের ম্যাচটি খেলতে চাই!’
মাশরাফি যে চোটে পড়েছেন, তাতে এবার আর বিপিএলে খেলতে পারবেন না। কিন্তু ব্যাপারটি কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক। উল্টো আজই তিনি চান মাঠে নামতে। এ নিয়ে ঢাকার ম্যানেজার আহসানউল্লাহ হাসান বলেন, ‘সে খেলতে ভীষণ ইচ্ছুক। আমরা বুঝতে পারছি না কি করব। দৃঢ় মনোবলে সে বলছে, খেলবে। জানেনই তো, মাশরাফি একজন লড়াকু মানুষ। এখন বিষয়টি তার ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’
মাঠে নামতে চাইলেও মাশরাফিকে ডাক্তারা পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্রামে থাকতে। এ ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে সাত দিনের বিশ্রাম প্রয়োজন; কিন্তু মাশরাফি গত পরশু বারবার জানিয়েছেন, হাতে সেলাই নিয়েই খেলতে চান। ঢাকা অধিনায়ক যদি শেষ পর্যন্ত অনড় থাকেন নিজের সিদ্ধান্তে, খেলাটা ঝুঁকির হলেও শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। মাশরাফির খেলা-না খেলা নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘যেহেতু সেলাই পড়েছে, সুস্থ হতে সাধারণত সাত দিন সময় নিতেই হয়। অনেক সময় খেলা যায়, গুরুত্বপূর্ণ খেলা থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিই। তবে সেরে উঠতে সাত দিনের বেশি লাগে। অনেক সময় কেউ কেউ ঝুঁকি নেয়। আমরা সে অনুমতি দিইও। কিন্তু আমরা তো চাইব সে আগামী তিন দিন যেন কিছু না করুক। তারপরও যদি বলে খেলব, তবে খেলার ব্যবস্থা করে দেব।