শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাজধানীতে চলাচলকারী গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে ধানমন্ডি, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে প্রথমে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় সিটি কলেজের সামনে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। এসময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে বলে জানায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় বিভিন্ন কলেজের ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে জড়ো হয়ে গণপরিবহনে হাফপাসের দাবিতে মিছিল এবং বিক্ষোভ শুরু করে। শুরুতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে বাস ভাঙচুর করতে থাকে।এসময় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তাদের থামানোর চেষ্টা করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে সড়কের অপরপাশের ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নেয় এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বাস ভাঙচুর করে।
ভাঙচুর হওয়া ট্রান্সসিলভা বাসের চালক হামিদুর রহমান বলেন, আমরা সড়কে জ্যামের মধ্যে থাকা অবস্থায় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। আমরা নিয়মিত হাফ পাস নিচ্ছি।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনার পরপরই সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ও ধানমন্ডি থানার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, ‘গণপরিবহনে বিশেষ করে বাসে হাফ ভাড়ার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই ধানমন্ডি সাইন্সল্যাব এলাকার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে, রাস্তা অবরোধ করছে। আজকেও বেলা সোয়া ১২টার দিকে সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করেছে। এ সময় কয়েকটি বাসের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।’
এখন রাস্তায় ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মো. ফারুকুজ্জামান বলেন, ‘ছাত্ররা হাফ পাশের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়৷ এর মধ্যে উত্তেজিত ছাত্ররা চারটি বাস ভাঙচুর করে। আমরা সাথে সাথেই তাদের থামিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ছাত্রদের বুঝিয়ে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
এরআগে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা একইভাবে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। সেদিন পুলিশ ও কলেজ শিক্ষকরা তাদের বুঝিয়ে কলেজ প্রাঙ্গনে ফেরত পাঠায়। তবে তারা বাস মালিক-শ্রমিকদের হাফ পাশ কার্যকর করতে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়।
ছাত্রদের অভিযোগ, পূর্বে তারা গণপরিবহনে হাফ ভাড়া দিয়ে চলাচল করলেও নতুন ভাড়া কার্যকর করার পর বাস চালক না তাদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিচ্ছে না। বরং হাফ ভাড়া দিতে চাইলে তাদের সাথে আরও খারাপ করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।