প্রতিনিধি, হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) : ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মচারীর হামলায় ৫ জন শিক্ষক গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকদের ওপর কর্মচারী তাজুলের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি, অভিযুক্ত তাজুলকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার, তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত শেষ করা এবং সাত দিনের মধ্যে দাবি কার্যকর করাসহ মোট ৭ দফা দাবি জানান। পরে দাবিগুলো স্মারকলিপি আকারে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়।
মানববন্ধন সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারাবি ইমন বলেন, আমাদের স্যারদের ওপর যে হামলা হয়েছে এবং তা কার মদদে হয়েছে এটা এখনও আমরা নিশ্চিত নই। প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করবে বলে আশা করছি। তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিভাগের সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এমনকি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক তদন্ত রিপোর্ট না দিলে ফ্যাকাল্টি অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করব, ইতোমধ্যেই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সাময়িক বহিষ্কার আদেশ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারীকে তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন সরকারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ১৬ নভেম্বর সকালে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অফিস কক্ষে ঢুকে ধারালো অস্ত্র ও কাঁচ দিয়ে উপস্থিত বিভাগীয় শিক্ষকদের মারাত্মকভাবে জখম করেন ওই বিভাগেরই অফিস সহায়ক মো. তাজুল ইসলাম।