Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:33 pm

হাবিপ্রবির হল খুলছে ১৮ অক্টোবর ক্লাস পরীক্ষা ২১ অক্টোবর

প্রতিনিধি, হাবিপ্রবি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ১৮ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে সব হল খুলে দেয়া হবে এবং সশরীরে ক্লাস শুরু হবে ২১ আক্টোবর থেকে।

গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে ৫৮তম একাডেমিক কাউন্সিলে পর্যায়ক্রমে হল খুলে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কাউন্সিলে শিক্ষার্থীদের কভিডকালীন একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে সম্পন্ন করার জন্য নীতিমালা সর্বসম্মতিক্রমে পাস করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস আওয়ার ঠিক রেখে প্রতিটি ক্লাস ৫০ মিনিটের পরিবর্তে ৭০ মিনিট নির্ধারণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে হাবিপ্রবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখা থেকে।

কভিড-১৯ টিকা নেয়া সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে দেয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিল সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান।

হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, ‘১৮ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রম হলসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং ২১ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও মার্স্টাসে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা সশরীরে শুরু হবে (শর্তসাপেক্ষে)। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কভিডকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সেমিস্টারের সময়কাল চার মাসে কমিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।’

জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখা জানিয়েছে, ‘অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকবে। লেভেল-১ (২০২০ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সঙ্গে রি-অ্যাড হওয়া শিক্ষার্থী) এবং লেভেল-২ (২০১৯ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সঙ্গে রি-অ্যাড হওয়া শিক্ষার্থী) এর সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা অনলাইনে চলমান থাকবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিল সম্পন্ন করে অফলাইন পরীক্ষা ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সব মাস্টার্স/এমবিএ ও অনার্সের লেভেল-৪ (২০১৭ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সঙ্গে রি-অ্যাড) এবং লেভেল-৩ (২০১৮ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সঙ্গে রি-অ্যাড) এর শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল, ব্যবহারিক ক্লাস (যেগুলো হাতে কলমে প্রদর্শন প্রয়োজন) ও মিডটার্ম পরীক্ষা (আলোচনা সাপেক্ষে অনলাইন বা অফলাইনে) সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সব তত্ত্বীয় ক্লাস, ব্যবহারিক ক্লাস (যেগুলো হাতে কলমে প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই) ও কুইজ পরীক্ষা যথারীতি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।’

জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখা আরও জানিয়েছে, ‘প্রথমে মাস্টার্স/এমবিএ ও লেভেল-৪ (২০১৭ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সঙ্গে রি-অ্যাড) এবং লেভেল-৩ (২০১৮ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সঙ্গে

রি-অ্যাড) এর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম ধাপে হল খুলে দেয়া হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে একাডেমিক কাউন্সিল সম্পন্ন করে পরবর্তী ব্যাচসমূহকে পর্যায়ক্রমে হলে উঠানো হবে। হলে উঠতে হলে সংশ্লিষ্ট হলের প্রকৃত আবাসিক শিক্ষার্থী হতে হবে। হলে প্রবেশের সময় হলো কর্তৃক ইস্যুকৃত ‘রেসিডেন্সিয়াল আইডি কার্ড’ প্রদর্শন করতে হবে। কভিড ১৯ ভ্যাকসিন কার্ড (কমপক্ষে এক ডোজ নেয়ার) প্রদর্শন করতে হবে।’

ডরমেটরি-২ হলের পরিসংখ্যান বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী নাহিন হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার সময় কমিয়ে আনার ব্যাপারে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। এর মাধ্যমে কভিডকালীন ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৮ মার্চ থেকে কভিড মহামারি পরিস্থিতির কারণে হাবিপ্রবির সব হল বন্ধ রাখা হয়েছিল। মহামারি পরিস্থিতি অবনতির কারণে হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেয়ার মাধ্যমে।

প্রথম দিন খুলবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শেখ রাসেল হল। পরের দিন (১৯ অক্টোবর) খুলবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও ডরমেটরি-২ হল এবং ২০ অক্টোবর খুলবে কবি সুফিয়া কামাল হল, তাজউদ্দীন আহমদ হল ও আইভি রহমান হল।