শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। একই সঙ্গে তারা ইসরায়েলে এখনই নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছেন। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপরও হামাসের হাতে আটক বেশিরভাগ বন্দিকে উদ্ধার করতে পারেনি ইসরায়েল।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তেল আবিবের প্রাণকেন্দ্র কাপলান স্কোয়ারে হাজার হাজার ইসরায়েলি বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীরা গাজায় আটক থাকা কয়েক ডজন ইসরায়েলি বন্দির ছবি নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয় এবং ‘এখনই নির্বাচন’ বলে সেøাগান দেয়।
একই সময় প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারী তেল আবিবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরসংলগ্ন বিগিন স্ট্রিট বন্ধ করে দেয় বলে ইয়েদিওথ আহরনোথ সংবাদপত্র জানিয়েছে। এ সময় তারা ‘১৬৯’ লেখা একটি ব্যানার সামনে তুলে ধরে, যা চলমান যুদ্ধের দিনগুলোর সংখ্যা নির্দেশ করে।
ধারণা করা হচ্ছে, নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের গতি পরবর্তী কালে আরও বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যান্য এলাকা ও শহরেও ছড়িয়ে পড়বে।
ফিলিস্তিনের সরকারি সূত্র অনুসারে, ইসরায়েলের কারাগারে কমপক্ষে ৯ হাজার ১০০ ফিলিস্তিনিকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলি বন্দির সংখ্যা অস্পষ্ট, কারণ হামাস তাদের সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে ২৪০ থেকে ২৫৩ ইসরায়েলি বন্দির গাজায় আটক থাকার কথা বলে থাকে। যার মধ্যে তিনজনকে ইসরায়েল মুক্ত করেছিল এবং ১০৫ জনকে হামাস গত বছরের নভেম্বরে বন্দি বিনিময় চুক্তির সময় মুক্তি দিয়েছিল। এছাড়া ইসরায়েলি হামলার কারণে আরও ৭০ বন্দির নিহত হওয়ার কথা বলে থাকে হামাস।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা করছে।