নাজমুল ইসলাম ফারুক: গণমাধ্যমকর্মী জুনায়েদ হোসেন শিশির ফুটবল খেলতে গিয়ে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। ধীরে ধীরে তা তীব্র আকার ধারণ করে। সহকর্মীরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসাপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) হয়ে যায়।
সহকর্মীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারও চোখে জল, কেউ ডাক্তার ডাকছেন, কেউ ওষুধ আনায় ব্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় (ডিসি শক) তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। তার যে সমস্যা হয়েছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলা হয় অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশান (এএমআই)। এটি প্রাণঘাতী হার্ট অ্যাটাক।
ঢামেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহসিন আহমেদ ও তার সহকর্মী চিকিৎসকরা দ্রুত রোগীকে ক্যাথ ল্যাবে নিয়ে এনজিওগ্রাম করেন। হার্টের মূল নালিতে শতভাগ ব্লক দেখতে পান তারা। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর হার্টের রিং সফলতার সঙ্গে বসাতে সক্ষম হন। একে মেডিক্যালের ভাষায় পিসিআই (প্রাইমারি পিসিআই) বলা হয়।
ডা. মহসিন আহমেদ জানান, হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে কার্যকর ও আধুনিক চিকিৎসা প্রাইমারি পিসিআই। ঢামেক হাসপাতালে এ ধরনের রোগীকে অত্যন্ত কম খরচে এ চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়।
Add Comment