‘হালাল কসমেটিকসের বিশাল বাজারে বাংলাদেশের নাম নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ববাজারে এ মুহূর্তে কসমেটিকসের বাজার ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে হালাল কসমেটিকস ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের। এই বিশাল বাজারে বিশ্বের ১২টি দেশ হালাল কসমেটিকস রপ্তানি করছে। অথচ এসবের মধ্যে বাংলাদেশের নাম নেই। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সেমিনারের এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত পণ্যের মানবিষয়ক সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে ভোক্তা অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে ড. মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশ ৯০ শতাংশ মুসলিমের দেশ। অথচ এই খাতে আমাদের অংশগ্রহণ নেই। আমরা যদি কসমেটিকস পণ্য রপ্তানি করতে চাই তাহলে ব্যাংকিং খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা অর্থায়ন করবে। তাহলে বিদেশে পণ্য পাঠানো যাবে। দেশে উৎপাদিত কসমেটিকস পণ্য, দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতি আরও বিকশিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের তৈরি কসমেটিকস পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। কারণ আমাদের দেশের তৈরি পণ্যের গুণগত মান খারাপ নয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আবদুল জলিল বলেন, আমেরিকায় যেসব কসমেটিকস ব্যবহার হয়, সেগুলো আমাদের দেশের জন্য উপযোগী নয়। কারণ ওদের আবহাওয়া আর আমাদের আবহাওয়া ভিন্ন। এজন্য আমাদের দেশের মানুষের জন্য, আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী কসমেটিকস পণ্য তৈরি করতে হবে। নিজেদের জন্য পণ্য যদি নিজেরা তৈরি করা যায় তাহলে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। এক্ষেত্রে ভোক্তাদের প্রাধান্য দিতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এস এস সিদ্দিকী বলেন, এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের মে মাসে ২০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) আরোপ করার পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কসমেটিকস পণ্য আমদানি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। তার মানে বাকি ৫০ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশের বাজারে তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নারীরা কিন্তু কসমেটিকস কেনা কমিয়ে দেননি। তার মানে তারা দেশে উৎপাদন করা কসমেটিকস কিনেছেন। অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টর্স অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, ২০২৭ সাল নাগাদ আমরা রপ্তানি থেকে এক হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেনÑবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শারমিনা হক, ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মুনাওয়ার হোসেন, চিত্রাভিনেতা মামনুন হাসান ইমন প্রমুখ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০