হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর ঠাঁই নেই: স্বাস্থ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। রাজধানীর কোনো হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা নেই। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোয় সিট না থাকলেও রোগীরা আসছে। আমরা তো তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না। মেঝেতে হলেও তাদের জায়গা দিচ্ছি এবং চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, আজকের (গতকাল) সভায় আমরা হাসপাতালগুলোয় আলাদা ডেঙ্গু ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পর্যাপ্ত তরল সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে মশারি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। রোগী যদি মশারি না নিয়ে আসে, তাহলে হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোকে বলেছি, দ্রুত হটস্পটগুলোয় অভিযানের ব্যবস্থা করুন। শুধু অভিযান করলেই হবে না, মিডিয়ার ফোকাসে আনুন। সাধারণ মানুষসহ সবাইকে পার্টিসিপেট করান। ময়লাগুলো দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিন। আজকের ময়লা যেন আগামীকালের অপেক্ষায় না থাকে। ময়লা ম্যানেজমেন্টে অনেক ঝামেলা আছে, তারপরও এটাকে আপনারা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।

ডেঙ্গু রোগী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরই বিপদ শুরু হয়। তখনই প্লাটিলেট নামা শুরু করে। ওই সময়টাতে রোগীরাও বুঝতে পারে না। তারা মনে করে সুস্থ হয়ে গেছে, এমনকি বিছানা থেকেও উঠে যায়। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ডেঙ্গু রোগীর ব্লিডিং (রক্তপাত) শুরু হয়ে গেলে তখন ডাক্তারও কিছু করতে পারে না। ১০-১২ হাজারে প্লাটিলেট চলে এলে দাঁতের গোড়াসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্লিডিং শুরু হয়। সুতরাং আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

সচেতনতা প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে আমরা অভিযান পরিচালনা করেও কিছু করতে পারব না। মশারির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আশপাশের জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে। ডাবের পানি ডেঙ্গুতে খুবই জরুরি। কিন্তু ডাবের খোসা আমাদের জন্য সর্বনাশের কারণ, এটাও মাথায় রাখতে হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০