Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 12:40 pm

হাসপাতালে ভর্তি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: অসুস্থ বোধ করায় সদ্য কারামুক্ত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাসকে বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মির্জা ফখরুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সকালে তিনি কিছুটা অসুস্থ বোধ করছিলেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে এভারকেয়ার হাসপাতালে মহাসচিবকে ভর্তি করা হয়। তিনি হƒদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে আছেন।’

চিকিৎসকরা মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন বলে জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এখন তিনি সুস্থ আছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম স্বামীর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’

২০১৫ সালে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় মির্জা ফখরুলের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। এই রোগে চিকিৎসার জন্য প্রতি বছরই মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুরে যান।

৭৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসও রয়েছে। মাঝে দুবার তিনি কভিডেও আক্রান্ত হয়েছেন।

এক মাস কারাবন্দি থাকার পর উচ্চ আদালতের জামিনে গত ৯ জানুয়ারি মুক্ত হন মির্জা ফখরুল। গত কয়েক দিন তিনি দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন এবং দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।

সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, গত সপ্তাহে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা মির্জা আব্বাসের অনিয়মিত হার্টবিট, কাশি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় এবং মূত্রজনিত সমস্যা প্রকোপ আকার ধারণ করায় গতকাল বেলা আড়াইটায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

গত বছর ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু এবং অনেকেই আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানির অভিযোগে পল্টন থানায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের নামে মামলা করে পুলিশ। পরে ৮ ডিসেম্বর রাতে দুজনের নিজ নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান এই দুই নেতা। একই দিন তারা দুজনে হাসপাতালে ভর্তি হলেন।