ফলিক এসিড রক্তে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি হওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি পেতে প্রতিদিনের খাবারে সবুজ শাকসবজি থাকা উচিত। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর ফলিক এসিড রয়েছে, যা শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া চিকেন লিভার, মার্টন লিভার, ব্রুকলি, কলা, বাদাম প্রভৃতি শরীরে ফলিক এসিড জোগান দেয়।
আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। আয়রনযুক্ত খাবার শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব পূরণ করে। বিশেষ করে খেজুর, বেদানা, কিশমিশ, আপেল, তরমুজ, আমলকী প্রভৃতি ফলে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। ফলগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব সহজে বেড়ে যায়। প্রতিদিন একটি করে আপেল বা বেদানা খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে। এছাড়া পালংশাক একটি আয়রনযুক্ত খাবার। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ক্যানসার সংক্রমণকেও রোধ করে। কুমড়ার বীজেও প্রচুর আয়রন রয়েছে। ১০০ গ্রাম কুমড়া বীজ শরীরে ৮৩ শতাংশ আয়রনের জোগান দিতে পারে।
ভিটামিন ‘ই’র সাহায্য ছাড়া শরীর প্রয়োজনীয় আয়রন গ্রহণ করতে পারে না। তাই শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলার জন্য ভিটামিন ই-যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। পাকা পেঁপে, কমলালেবু, পাতিলেবু, স্ট্রবেরি, আঙ্গুর প্রভৃতিতে এ ভিটামিন রয়েছে।
বিট একটি সুপার ফুড। এতে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম, ফাইবার, ফলিক এসিড ও আয়রন রয়েছে। এটি শরীরে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আলুতে আয়রন ও ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে।তাই এটি শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
ডালিম আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশসমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। অন্তত প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
চাল, গম, বার্লি প্রভৃতি আয়রনসমৃদ্ধ খাবার। এসব খাবার প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেটসহ বিভিন্ন উপাদান সরবরাহ করে। লাল চাল বিশেষ করে সব বয়সীর জন্যই আয়রনের একটি সমৃদ্ধ উৎস বলে গণ্য করা হয়।
যে কোনো বাদামই মানবদেহের জন্য উপকারী। কাজু ও চীনাবাদাম রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়।
ইন্টারনেট অবলম্বনে শিপন আহমেদ