হিলিতে আমন ধান কাটা শুরু

ছামিউল ইসলাম আরিফ, হিলি (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের হিলিতে চলতি মৌসুমে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বর্তমানে কাটা হচ্ছে স্বর্ণা-৫ ও গুটি স্বর্ণা জাতের ধান। এ বছর ফলন মোটামোটি ভালো হয়েছে। কৃষকেরা কিছুটা লাভবান হলেও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দাম নিয়ে চিন্তিত বর্গাচাষিরা। বর্গাচাষিরা বলছেন, জমির ভাড়াসহ অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর সার, কীটনাশক, শ্রমিক মজুরি বেশি। বাজারে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণা-৫ ও গুটি স্বর্ণা জাতের ধান। গত বুধবার হিলির বিভিন্ন গ্রাম ও ধানের বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

উপজেলার মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের কুষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি নিজের ৫ বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় (৩৩ শতক) ধান লাগনো থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত খরচ পড়েছে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ধান হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ মন পর্যন্ত। প্রতিকেজি ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ২৫ টাকা করে। গত বুধবার হিলি বাজারে প্রতিকেজি ধান বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। এতে প্রতিকেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত থাকছে।

ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বর্গাচাষি ইসমাইল হোসেন জানান, ‘আমি প্রতি বিঘা জমি (৩৩ শতক) ৮ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে ২ বিঘা জমিতে গুটি স্বর্ণা জাতের ধান আবাদ করেছি। জমির দামসহ ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত খরচ পড়েছে ২২ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় ধান হচ্ছে গড়ে ১৫ মণ। প্রতিকেজিতে উৎপাদন খরচ পড়েছে ৩৬ টাকা। আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি। এতে প্রতিকেজিতে লোকসান গুনতে হবে ৪ টাকা করে। খড় বিক্রি করে সেই লোকসান কিছুটা পুষিয়ে যাবে। হয়তো সমান সমান হতে পারে। কোনো লাভ হবে না।’

বোয়ালদাড় গ্রামের বর্গাচাষি মোফাজ্জল হোসেন জানান, গেল বছর ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে লাভ হয়েছিল। এবার হচ্ছে না। কারণ জমির মালিককে প্রতি বিঘায় ২ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে। এছাড়া কৃষিসামগ্রীর দাম গেল বছরের চেয়ে বেশি। তাই লোকসান গুনতে হবে।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা জানান, চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার ১ পৌরসভাসহ ৩টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৪ থেকে ১৫ মণ ধান ফলন হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের সবধরনের সহায়তা করেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০