প্রতিনিধি, হিলি (দিনাজপুর): সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে দেশীয় কাঁচামরিচ ও পোঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। সেই মরিচ আজকে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। এদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা। গতকাল শনিবার দুপুরে হিলি বাজারে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া যায়।
এদিকে বর্তমানে বাজারে দেশি কাঁচামরিচের দাম কম হওয়ায় ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ কারণেই কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন এ বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
হিলি বাজারে কয়েকজন কাঁচামরিচ বিক্রেতা বলেন, কয়েক দিন ধরে আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচামরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এতে মোকামগুলোয় কাঁচামরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে শুধু বগুড়া থেকে কাঁচামরিচ আসছিল। এখন নওগাঁসহ আশপাশের এলাকা থেকেও আসছে কাঁচামরিচ। এতে বাজারে কাঁচামরিচের সররবাহ অনেকটাই বেড়ে গেছে। মোকামে আমরা যেমন কম দামে কাঁচামরিচ কিনতে পারছি, তেমনি বাজারে কম দামে বিক্রিও করতে পারছি। দেশি কাঁচামরিচের সরবরাহ বাড়ায় ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকলেও এর প্রভাব পড়েনি এ বন্দরের বাজারে।
হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন,? কয়েক দিন আগে কাঁচামরিচের দাম ডাবল সেঞ্চুরি পার করে ২৫০ টাকায় উঠেছিল। তারপর মাঝখানে কিনলাম ১২০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে দাম কমে ৩০ টাকায় নেমেছে। এ রকম দাম থাকলে আমাদের নি¤œ আয়ের মানুষদের জন্য ভালো হয়।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচামরিচ আমদানিকারকরা বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারে দেশি কাঁচামরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে। সেই হিসাবে দেশের চেয়ে ভারতের বাজারেই কাঁচামরিচের দাম বেশি। এমন অবস্থায় ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করে লোকসান গুনতে হবে। তাই লোকসান থেকে বাঁচতে গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে ছয় লাখ ৪২ হাজার টন ৯৭৫ কেজি।
কমেছে পেঁঁয়াজের দাম: এদিকে হিলিতে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এদিকে পণ্যটির দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নি¤œ আয়ের মানুষদের মাঝে।
গতকাল বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোয় সাজানো রয়েছে ভারতীয় পেঁঁয়াজ। সরবরাহ ঠিক থাকলেও রয়েছে ক্রেতার সংকট। ক্রেতার সংকটে দোকানগুলো যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকায়, সেই পেঁয়াজ আজকে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়।
কয়েকজন পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, বর্তমান বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের তেমন বেচাকেনা নেই। আমরা পেঁয়াজ নিয়ে বসে আছি। কিন্তু ক্রেতার তেমন কোনো সমাগম নেই। ক্রেতা সংকট। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে আট থেকে ১০ টাকা। আগে যে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। সেই পেঁয়াজ আজকে বিক্রি করছি ২০ থেকে ২২ টাকায়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেশি হওয়ায় ফলে পণ্যটির দাম কমছে।