দেখতে সবুজ বা কালো নয়। গায়ের রঙ একেবারে হলুদ। মুখে দিলেই মিলবে সুস্বাদু ও রসালো তরমুজের স্বাদ। হলুদ রঙের এ তরমুজ আবাদ করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের সোহেল রানা। এবারই প্রথম হলুদ রঙের তরমুজ উৎপন্ন হয়েছে হাকিমপুরের হিলিতে। প্রতি কেজি তরমুজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
সোহেল রানা বলেন, বাজারে স্টেশনারি ব্যবসার পাশাপাশি কৃষিকাজও করি। সখের বসে নিজের দুই বিঘা জমিতে তাইওয়ানের গোল্ডেন ব্রাউন জাতের হলুদ রঙের তরমুজ চাষ করি। কোনো কীটনাশক ছাড়াই দুই বিঘা জমিতে খরচ হয় প্রায় ৮০ হাজার টাকা। অন্য ফসল চাষাবাদের চেয়ে খরচ কম বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ধরনের তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন এলাকায়। তিন মাসের মধ্যে বীজ লাগিয়ে পেয়েছেন কাক্সিক্ষত সাফল্য। প্রতিটি গাছে চার থেকে পাঁচটি করে তরমুজ ধরেছে। একেকটির ওজন দুই থেকে তিন কেজি। এ তরমুজ দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসছে।
ফল বিক্রেতা হায়দার আলী বলেন, মধু মাসের সঙ্গে চলছে রমজান। তাই তরমুজের চাহিদা রয়েছে। ফলে বিক্রিও হচ্ছে বেশ। অনেকে কৌতূহলবশত কিনছেন। অনেকে এ জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। গ্রীষ্মকালীন একটি ফল চাষ করেই যে ভাগ্যের ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সোহেল রানা।
ছামিউল ইসলাম আরিফ, দিনাজপুর