প্রতিনিধি, হিলি (দিনাজপুর): দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে ঘোড়াঘাট যাওয়ার সড়কটির বেহাল। প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে একটু পরপর উঁচু-নিচু খানাখন্দ। এর ফলে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হিলি স্থলবন্দরের পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব যানবাহন। কয়েকজন সড়ক ব্যবহারকারী বলছেন, এ অবস্থায় চললে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে হিলি-ঘোড়াঘাট ৩০ কিলোমিটার সড়ক ইতোমধ্যে এইচবিবিকরণের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হয়েছে বলছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
কয়েকজন ট্রাক ও বাস ডাইভার বলেন, হিলি স্থলবন্দর থেকে পণ্য নিয়ে হিলি-ঘোড়াঘাট হয়ে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আমাদের যাওয়া লাগে। তবে এই রাস্তায় একটু পর পর উঁচু, তাই আমাদের ভারী ট্রাক নিয়ে যেতে ভয় লাগে কখন যে গাড়ির শকাব ভেঙে যায়। স্টিয়ারিং হাত দিয়ে ধরে থাকাই কষ্টকর। আবার নামার সময়ও উল্টে যাওয়ার ভয় থাকে।
একজন মাইক্রোবাস চালক বলেন, এই সড়কে ছোট যানবাহন চালাতে বেশি কষ্ট হয়। ৩০ কিলোমিটার সড়কে ৪৫টি জায়গায় এইচবিবিকরণের মাধ্যমে সংস্কার করা হয়েছে। তবে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করতে খুব সমস্যা হয়। জয়গাগুলো বেশি উঁচু করার কারণে ছোট যানবাহনের নিচের অংশ অনেক সময় সংস্কার করা জায়গাগুলোকে আটকে যায়। তখন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। লোকজনদের ঠেলা দিয়ে পার হতে হয়। এভাবেই চলাচল করতে হয় এই সড়ক দিয়ে; যা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর বিষয়।
কথা হয় রাস্তায় চলাচল করার সময় কয়েকজন মোটরসাইকেল চালকদের সঙ্গে। তারা বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে। আর আমাদের এ এলাকার রাস্তাটির বেহাল দশা। আমাদের এই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলের গতি ৩০ কিলোমিটারের ওপর তোলা যায় না। হিলি থেকে ঘোড়াঘাট ৩০ কিলোমিটার এটুকু রাস্তা যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। আমাদের যদি জরুরি কাজে কোথাও যেতে লাগে তাহলে এই রাস্তা দিয়ে দ্রুত যেতে পারব না।
হরিহরপুর গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের হিলি থেকে ঘোড়াঘাট যাওয়ার রাস্তাটি আগের থেকে আরও বেশি খারাপ হয়েছে। আগে তো একটু গর্ত ছিল। তারপরও পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া যেত। বর্তমানে এইচবিবিকরণ করার পর এমন অবস্থা হয়েছে যে, যদি হঠাৎ করে কোনো মানুষ অসুস্থ হয় তাহলে তাকে আর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাবে না। গুরুতর রোগী হলে তো বর্তমান রাস্তার যে অবস্থা তাতে হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই মারা যাবে।’