প্রতিনিধি, হিলি (দিনাজপুর): দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলোতে বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে লাখ লাখ টাকার টনে টনে পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ ক্রেতা সংকটের কারনে বিক্রি করতে পারছেন না আড়তদাররা। এদিকে বিক্রি না হওয়া পেঁয়াজগুলোতে গজাচ্ছে গাছ। এসব গাছওয়ালা পেঁয়াজ মহিলা শ্রমিক দিয়ে চলছে ছাঁটায়ের কাজ। ফলে অর্ধেক দামেও বিক্রি হচ্ছেনা এসব পেঁয়াজ। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ শনিবার (১ জানুয়ারি) সকালে আড়তগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে টনে টনে পেঁয়াজ পড়ে আছে বিক্রির অপেক্ষায়। এসব পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় অনেক পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে আবার অনেক পেঁয়াজের মধ্যে গাছ উঠতে শুরু করেছে। এসব গাছ ওয়ালা পেঁয়াজ কেউ না নেওয়ায় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আড়তদারদের। এতে লোকশানে পড়ছেন তারা।
পেঁয়াজ কিনতে আসা এক পাইকার বলেন, ‘ভাদুরিয়া থেকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। এসে দেখছি পেঁয়াজের আড়তগুলোতে ভালো পেঁয়াজ একটাও নেই সবই গাছওয়ালা পেঁয়াজ ।’
আরেক পাইকার বলেন, ‘আমি ঘোড়াঘাট থেকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলাম, যা দেখলাম আড়তগুলোতে যত পেঁয়াজ আছে সবই গাছ উঠানো পেঁয়াজ এবং পচা পেঁয়াজ, ভালো পেঁয়াজ একটাও নেই তাই না নিয়ে ফেরত যাচ্ছি।’
মেসার্স এম আর ট্রেডার্স পেঁয়াজ আড়তদারের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আমাদের ঘরে ৪০ থকে ৫০ টন পেঁয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় পরে আছে। এসব পেঁয়াজ ক্রেতা সংকটের কারনে বিক্রি করতে পারছিনা। ক্রেতার অভাবে পেঁয়াজের মধ্যে গাছ উঠতে শুরু করেছে আবার অনেক পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব গাছওয়ালা পেঁয়াজগুলো গাছ ছাঁটায়ের জন্য মহিলা শ্রমিক কাজে লাগানো হয়েছে। এসব পেঁয়াজ বিক্রির জন্য অর্ধেক দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে আমরা লোকসানে পড়ছি।
