প্রতিনিধি,হিলি : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে খালাসের অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে শত শত মেট্রিকট্রন চাল বোঝায় ট্রাক। শুল্ককর কমানোর আশায় এসব চাল খালাস হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা । তারা আরও জানান, চালগুলো খালাস হলে বাজারে চালের দাম অনেকটাই কমে যাবে।
আজ বৃহম্পতিবার (১৮ আগষ্ট) সরেজমিনে বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর অভ্যন্তরে শত শত চাল বোঝায় ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় পরে আছে। দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই থেকে ২৫% শুল্ককরে চাল আমদানির অনুমতি (আইপি) দেন সরকার। এই বন্দরে ১০ জন আমদানিকারক ৩০ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির পারমিট পায়। শতাধিক চাল বোঝাই ট্রাক বেশ কয়েকদিন যাবত বন্দর অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে আছে।
হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন জানান, হিলি বন্দরে চাল আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। বরং চালের দাম আরও বেড়ে গেছে। ডলারের দাম বৃদ্ধি আর সরকারি শুল্ককর কমানোর অজুহাতে আমদানিকারকরা চালগুলো বন্দর থেকে খালাস করছেন না। তবে যদি তারা চালগুলো বাজারজাত করেন তাহলে আশা করা যায় চালের দাম অনেকটাই কমে যাবে।
এবিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন -উর রশিদ হারুন জানান, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকরা চাল আমদানি করে লোকসানে পড়ছেন। এই জন্যই ভারত থেকে চাল আমদানির প্রতি তাদের অনিহা। তবে যদি সরকার চালের উপর ২৫% শুল্ক তুলে নেন, তাহলে বন্দর অভ্যন্তরে যেসব চালের ট্রাকগুলো রয়েছে সেগুলো খালাস করবেন আমদানিকারকরা। এছাড়াও ভারত থেকে চালের আমদানি আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে দেশের বাজারে চালের দাম অনেকটাই কমে আসবে।
পানামা পোর্ট লিমিটেড জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, হিলি স্থলবন্দরে বর্তমান শতাধিক চাল বোঝাই ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। কাষ্টমসের সকল কার্যক্রম শেষে আমদানিকারকরা যাতে দ্রুততার সাথে বন্দর থেকে চাল গুলো খালাস করে নিয়ে যেতে পারে এই জন্য পানামা বন্দর সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করে রেখেছে।
হিলি কাস্টমস সূত্রে , গত জুলাই মাসের ২৩ তারিখ থেকে এ বন্দরে ১৯২টি ট্রাকে ৭ হাজার ৭১৫ মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে। যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা।