হীরাঝিল প্রপার্টি মালিকের ৪৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:জমির ব্যবসার আড়ালে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন হীরাঝিল প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ নাসির উদ্দিন। তার ৪৯ কোটি এক লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি জ্ঞাত আয়-বহিভর্‚ত এসব সম্পদ অর্জন করে দখলে রেখেছেন। আয়ের উৎস-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র নিজে বা আমমোক্তারের মাধ্যমে উপস্থাপন না করে কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। দুদকের দায়ের করা মামলা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয়-বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে দুদক সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস জারি করে। সৈয়দ নাসির উদ্দিন হীরাঝিল প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মো. জালাল ওরফে সৈয়দ মো. জালাল উদ্দিনকে আমমোক্তার নিযুক্ত করেন। ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর আমমোক্তারের মাধ্যমে তিনি দুদক কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ হিসেবে রাজধানীর ভাটারা থানার হীরাঝিল প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) কোম্পানি লিমিটেডের বøক-এ থেকে জেড পর্যন্ত (রোড নম্বর ১-১০) ২০ দশমিক ০৬ একর নালজমি এবং ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমির ওপর ছফুরা প্যালেসে একটি ফ্ল্যাটসহ মোট মূল্য বাবদ ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং অস্থাবর অংশে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন।

সম্পদ অর্জনের উৎস হিসেবে ভ‚মি ব্যবসার আয়কে ঘোষণা দেন, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দাখিল করেননি। সম্পদ বিবরণীতে তিনি দায় বাবদ এক কোটি ৫০ লাখ টাকার ঘোষণা দেন। এতে তার নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৫০ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দায় বাদ দিয়ে মোট সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ৪৯ কোটি এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। এসব সম্পদের বৈধ উৎস-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র তিনি দাখিল করেননি। আমমোক্তার ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারির মধ্যে দুদক কমিশনে যাবতীয় রেকর্ডপত্র দাখিল করার লিখিত বক্তব্য দিলেও কোনো রেকর্ডপত্র দাখিল করেননি।

এজাহারে বলা হয়েছে, দুদক কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত দায় ব্যতীত স্থাবর ও অস্থাবর অংশে মোট ৪৯ কোটি এক লাখ ৮০ হাজার টাকা আয়ের উৎস-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র নিজে বা আমমোক্তারের মাধ্যমে উপস্থাপন না করে কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। তিনি জ্ঞাত আয়-বহিভর্‚ত এসব সম্পদ অর্জন করে দখলে রেখেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ঢাকা-১ এ গত ১৭ ফেব্রæয়ারি মামলাটি করা হয়। উপপরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মামলাটি (নম্বর ৬) করেন। পরে উপপরিচালক রতন কুমার দাশকে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, তদন্তকালে আরও অবৈধ সম্পদ বা কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাও আমলে নেয়া হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০