ফলমূল: লেবু, পেয়ারা, পেঁপে, কমলা, ডালিম, আপেল, নাশপাতি, মোসাম্বি, অ্যাভোকাডো, বেরি, আঙুর প্রভৃতি ফল খান। এসব রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
শাকসবজি: প্রতিদিন খেতে হবে সালাদ, সবুজ শাক, লাউ শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বিটরুট প্রভৃতি। এসবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ভিটামিনেরও দারুণ উৎস। এটা হƒদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। তেলজাতীয় খাবার: রান্নায় ব্যবহার করতে হবে সূর্যমুখী তেল, চিনাবাদাম তেল, সরিষার তেল, রাইস ব্রান তেল, জলপাই তেল, তিলের তেল প্রভৃতি।
শস্যজাতীয়: গোটা শস্য, ওটস, সুজি, বাদামি চাল, লাল চাল আঁশের ভালো উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হƒদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বাড়ায়। এসব খাবার কোলেস্টেরলের উপকারী মাত্রা বাড়িয়ে হƒদযন্ত্র সমস্যার সমূহ ঝুঁকি হ্রাস করে।
মাংস ও মাছ : লাল মাংস সম্ভব হলে কম খাওয়া বা পরিহার করতে হবে। মাংসের ক্ষেত্রে চর্বিহীন মুরগির মাংস ভালো বিকল্প। ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ ও ডিম, যা কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। স্যামন ও ম্যাকেরেল জাতীয় কিছু মাছ প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা হƒদ্যন্ত্রের পক্ষে ভালো।
বাদাম ও বীজ: আখরোট, বাদাম, চিনাবাদাম, শণবীজ, কুমড়ার বীজ, তিলের বীজ সবই সুস্থ হার্টের জন্য ভালো খাবার।
হলুদ দুধ, দারচিনি মিশ্রিত পানি, ভেষজ চা, সবুজ চা, আদাযুক্ত পুদিনা চা প্রভৃতি হৃদস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। শরীরের জন্য লবণের প্রয়োজন রয়েছে। তবে মাত্রাতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। লবণের সোডিয়াম সরাসরি রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে, যা হƒদরোগীদের পক্ষে ভালো নয়। এতে শুধু হƒদরোগই নয়, বরং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে।
মাত্রাতিরিক্ত চিনি গ্রহণে ডায়াবেটিস হতে পারে; হার্ট, লিভারের ক্ষতিও ডেকে আনতে পারে। রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে গেলে হƒৎপিণ্ডের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার হার্টের জন্য বেশ ক্ষতিকর। আবার রান্নায় বেশি মাত্রায় তেল ব্যবহার করাও ঠিক নয়। প্রতিদিন ৩ চামচ তেল নিম্ন রক্তচাপ বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট।
আরও যা বর্জনীয়: ধূমপান একদম নয়। ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চিপস, বার্গার ও ফ্রাই জাতীয় জাংক ফুড, প্যাকেটজাত, টিনজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ও ময়দা এড়িয়ে চলতে হবে। পনির, চিজ, মাখন, কেক, বিস্কুট ও নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে বলে এগুলো কমিয়ে দিন বা বর্জন করতে হবে।
রেবেকা সুলতানা
পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ান
এসআইবিএল ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ঢাকা
