একজন সুস্থ মানুষের হৃৎপিণ্ড নির্দিষ্ট গতিতে স্পন্দিত হতে থাকে। স্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনের গতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার। তবে মিনিটে ১০০ বারের বেশি স্পন্দন হলে তখন তাকে ট্যাকিকার্ডিয়া বলা হয়। আবার যদি ৬০ বারের নিচে চলে যায়, তখন তাকে ধীর হৃৎস্পন্দন বা ব্র্যাডিকার্ডিয়া বলে।
ট্যাকিকার্ডিয়া বা দ্রুত হৃৎস্পন্দন দেখা দিলে সাধারণত বুক ধড়ফড় করে; কখনও বুকে ব্যথা, জ্ঞান লোপ পাওয়া প্রভৃতি উপসর্গ দেখা যায়। এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এ সময় হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে মৃত্যুঝুঁকিও বাড়তে পারে।
কারণ
# ক্যাফেইন-সমৃদ্ধ পানীয় বেশি খাওয়া। যেমন কফি, চা, সোডা প্রভৃতি
# অতিরিক্ত ধূমপান
#দুশ্চিন্তা
# জ্বর
# রক্তশূন্যতা
# হার্টের বিভিন্ন রোগ
# রক্তে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অতিরিক্ত হলে
# কোনো বিরল রোগে আক্রান্ত হলে
# চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলে
লক্ষণ
অধিকাংশ রোগীই এর লক্ষণ বুঝতে পারে না। কিছু উপসর্গ দেখে বোঝা যায় ট্যাকিকার্ডিয়া হয়েছে।
# শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
স মাথা ঘোরানো
# হঠাৎ দুর্বল হয়ে যাওয়া
# বুকে ব্যথা
# মাথা হালকা অনুভব করা
# অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
প্রতিরোধে করণীয়
# প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে
# তেলচর্বিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে
# হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করতে হবে
# অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হলে ওজন কমিয়ে আনা প্রভৃতি ট্যাকিকার্ডিয়া নির্ণয়ের জন্যে সাধারণত ইসিজি পরীক্ষার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। এছাড়া ফিজিওলজি, এমআরআই স্ক্যান, স্ট্রেস টেস্ট প্রভৃতি পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা ওষুধ দেন।