জুনায়েদ আহম্মেদ, লক্ষ্মীপুর: ষাটোর্ধ্ব শাহজাহান মিয়া। পাঁচ বছর ধরে অনাবাদি জমির পাশে বসে নতুন করে আবাদ করার স্বপ্ন বুনছেন তিনি। দীর্ঘদিনের অনাবাদি জমিতে নামার সাহস হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। ‘পাঁচ বছর ধরে হেলে পড়া খুঁটি দুই দিনেই মেরামত করল লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি!’ এভাবে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন তিনি।
শুধু তিনি নন, এ নিয়ে ওই এলাকার কৃষক ও জনসাধারণের মুখে হাসি ফুটেছে। এর আগে ‘বিদ্যুতের হেলে পড়া খুঁটি নিয়ে বিপাকে লক্ষ্মীপুরের কৃষক’ শিরোনামে গত বুধবার দৈনিক শেয়ার বিজে সংবাদ প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়।
লক্ষ্মীপুরে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির ভয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চাষাবাদ করতে পারছিলেন না কৃষকরা। অনাবাদি হয়ে পড়ে ৩০ একর জমি। সংগত কারণে আতঙ্কের কথা জানিয়ে একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দ্বারস্থ হলেও প্রতিকার না পাওয়ায় অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
গত মঙ্গলবার বিকালে এ প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি অবহিত হয়ে শিগগির ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু তাহের।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের রতনপুর মাদরাসার পাশে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে অর্ধশতাধিক কৃষক পল্লী বিদ্যুতের হেলে যাওয়া ১০টি খুঁটির ভয়ে জমিতে চাষাবাদ বন্ধ রাখেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় সেলিম উদ্দিন ও জিয়া উদ্দিন ফাহাদ রিপনসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখন নতুন করে আবার আবাদ শুরু করার স্বপ্ন দেখছেন তারা। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে আর তাদের মাঝে খুঁটির ভয় কাজ করবে না। পুরো এলাকাজুড়ে আনন্দের জোয়ার বইছে।
তারা আরও জানান, বুধবার বিকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কাজ করে হেলে পড়া খুঁটিগুলো সংস্কার করেছেন পল্লী বিদ্যুতের লোকজন। অথচ বছরের পর বছর হেলে পড়া খুঁটির কারণে জমিতে আবাদ করা যায়নি।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু তাহের জানালেন, বিষয়টি অবহিত হয়ে দ্রুত সমাধান করা হয়েছে।