নিজস্ব প্রতিবেদক: হোটেল এরাম ইন্টারন্যাশনাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মদ ও বিয়ার জব্দ করেছে মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে এসব মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে হোটেল বার থেকে মদ বিক্রয় করা হচ্ছে। ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মহাপরিচালক জানান, ভ্যাট গোয়েন্দা আজ রাজধানীর একটা হোটেলের বারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মদ জব্দ করেছে। বারের নাম হোটেল এরাম ইন্টারন্যাশনাল, শুক্রাবাদ, মিরপুর রোড।
অভিযানকালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মদ ও বিয়ার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৯ মার্চে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হোটেল বার বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দার দল পরিদর্শনে দেখতে পায়, হোটেল এরাম গত কয়েক মাসে শূন্য বিক্রয় দেখিয়ে মোহাম্মদপুর সার্কেলে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিয়েছে। কিন্তু হোটেল এরাম প্রাঙ্গন থেকে জব্দকৃত বাণিজ্যিক কাগজ থেকে জানা যায়, তারা ঐসব মাসে মদ বিক্রয় করেছে।এ সংক্রান্ত বিক্রি চালানের কপি পাওয়া গেছে। এতে সরকারের ভ্যাট ফাঁকির অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
একইসঙ্গে প্রাঙ্গনের বিভিন্ন স্থান হতে উদ্ধার করা মদ ও বিয়ারের স্বপক্ষে কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এসব মদ ও বিয়ার হোটেলের ছাদ, মেঝে ও গ্যারেজের বিভিন্ন স্থানে লুকায়িত ছিল। উদ্ধার করা এসব মদের মধ্যে রয়েছে ৩৭৪ বোতল বিদেশি হুয়িস্কি এবং ৩ হাজার ৬৭২ ক্যান বিদেশি বিয়ার।
তিনি আরও জানান, আটক হুয়িস্কি বিদেশি বিভিন্ন নামি ব্রান্ডের। এদের মধ্যে আছে ভ্যাট ৬৯, হোয়াইট হর্স, ব্লাক এন্ড হোয়াইট, ব্লাক রাম, স্মিরনফ, চেরি ব্রান্ডি, পাসপোর্ট, ভ্যালেন্টাইন, জিন হুইস্কি, আটাস্কা, স্যার পিল্টার সন। অন্যদিকে বিয়ারের মধ্যে আছে হেনিকেন, ব্লাক ডেভিল, হলান্ডিয়া।
ভ্যাট আইন অনুসারে এসব পণ্য ক্রয় রেজিস্টারে এন্ট্রি থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা নেই। ভ্যাট গোয়েন্দার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে এসব মদ ও বিয়ার চোরাচালানীর উৎস থেকে সংগ্রহ করে হোটেল বারে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছে। এসব বিক্রি গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিতো বলে ভ্যাট গোয়েন্দাদের সন্দেহ।
আটক মদের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। আটক পণ্য ঢাকা কাস্টম হাউস গুদামে জমা দেয়া হয়েছে। হোটেল প্রাঙ্গন থেকে কম্পিউটারের বিক্রি তথ্য ও বাণিজ্যিক দলিলাদিও জব্দ করা হয়েছে। ভ্যাট আইন ও কাস্টমস আইন অনুসারে আরো তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযানে র্যাব-২ এর একটি দল সহযোগিতা করেছেন।
###
