Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 12:38 pm

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা জনপ্রিয় করতে তিন দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নতি হলেও বাংলাদেশে এ চিকিৎসাব্যবস্থা অবহেলিতই থেকে গেছে। সহজলভ্যতা ও পাশ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আস্থা রাখেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সফল হয়েছে।

‘করোনা প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ভূমিকা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল বোর্ড এ দাবি জানায়। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এ সভার আয়োজন করে।

কর্মকর্তারা জানান, করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধ এবং এ চিকিৎসাব্যবস্থাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে হোমিওপ্যাথির উচ্চতর গবেষণার জন্য জাতীয় রিসার্চ সেন্টার, উচ্চতর শিক্ষার জন্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আধুনিক হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের নেতারা।

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০৩ জন রোগীর মধ্যে ৯৭ জনই হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহার করে সুফল পান। একই হাসপাতালে তিন হাজার ২৫৫ জনকে প্রতিষেধকমূলক হোমিও সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের সবাই এখন সুস্থ আছেন বলে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

হোমিওপ্যাথি মেডিকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান দিলিপ রায় জানান, প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে হোমিওপ্যাথি বহির্বিভাগে একজন চিকিৎসক বসার সুযোগ পেলেও পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার জন্য কোনো শয্যা বরাদ্দ নেই। করোনাকালীন হোমিওপ্যাথি ওষুধ অনেক ভালো কাজ করেছে। এ চিকিৎসায় আলাদা কমপক্ষে ২০ শয্যার একটি কক্ষ রাখার দাবি করেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করনে বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়। বোর্ডের সদস্য ডা. শেখ মো ইফতেখার উদ্দিন, ডা. আশীষ শংকর নিয়োগী, ডা. কায়েম উদ্দিন, ডা. মো আতাহার আলী, ডা. মো. নজরুল ইসলাম সুমন, ডা. মো. ইসরাফিল হোসেন মুন্সী, ডা. মো. রাশেদুল হক, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি বাংলাদেশের সভাপতি ডা. কামারুজ্জামান ভূঁঞা প্রমুখ।