স্মার্টফোন এখন যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। প্রায় সব বয়সী মানুষের হাতে দেখা যায় একে। স্মার্টফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা নানা কাজ করতে পারি। এত সুবিধার পরও কিছু অসুবিধা আছে। এর মূলে রয়েছে অসাধু ব্যক্তি। তাদের কুকর্মের কাছে অনেক ব্যবহারকারী হারও মানছেন।
অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারকারী তাদের ফোনে থাকা তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন নন। তাই হ্যাকাররা সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নিচ্ছে ব্যক্তিগত ছবি, ফোন নম্বরসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
একটু মনোযোগ দিয়ে ভাবুন তো, আপনার নাম কিংবা ছবি দিয়ে ফেসবুকিং করছে আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। অথচ আপনি সেই ছবি ফেসবুকে আপলোডই করেননি। নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায় পড়ে যাবেন। কেউ ফোন হ্যাক করে আপনার ছবিসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য চুরি করে নিয়েছে। হ্যাকারদের কাছ থেকে রক্ষা পেতে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাটি জানিয়েছে, কীভাবে এ ধরনের চুরি বা হ্যাকিং থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন।
নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট
সময় পেলেই ফোনটি আপডেট রাখার চেষ্টা করুন। হ্যাকাররা ফোনের সফটওয়্যারে কোনো ফাঁকফোকর খুঁজে পেলেও নতুন সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে সেই রাস্তা বন্ধ করে দেয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
বুঝেশুনে অ্যাপ ইনস্টল
অ্যাপ ইনস্টল করার বিষয়ে সচেতন হোন। হ্যাকিংয়ের বড় ঝুঁকিতে থাকেন অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা। এর মূল কারণ তৃতীয় পক্ষের তৈরি অ্যাপ। কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার সময় কিছু বিষয়ের অনুমতি চেয়ে নেয়। দ্রুত অ্যাপটি ইনস্টল করার জন্য নেক্সট বাটন চাপার আগে ভালোভাবে পড়ে দেখুন কিসের অনুমতি দিচ্ছেন। অনেক সময় প্লে স্টোরের বাইরে থেকে অ্যাপ ইনস্টল করেন কেউ কেউ। এটি ঝুঁকির অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। তাই প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ইনস্টল করাই নিরাপদ।
কঠিন পাসওয়ার্ড
ফোন হারিয়ে গেলে ব্যক্তিগত সব তথ্য অন্যের হাতে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অনিরাপদ হয়ে গেল। এই ঝুঁকি এড়াতে কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
পাসওয়ার্ড সেভ নয়
অনেকে টাইপ করার ঝামেলা এড়াতে পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখেন। কাজটি করে থাকলে ডিলিট করে ফেলুন।
একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা
সোশ্যাল মিডিয়া, ফোন বা কম্পিউটারে একই ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন অনেকে। এটাও করা যাবে না।
ব্যক্তিগত তথ্য গোপন
ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের জানা হয়ে গেলে তা আর ব্যক্তিগত থাকে না। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সব তথ্য প্রকাশ না করাই ভালো। ব্যক্তিগত তথ্য থেকেও অ্যাকাউন্ট ঝুঁকিতে পড়তে পারে। যেমন জš§ তারিখ যদি ফেসবুকে দেওয়া থাকে, সেখান থেকে তথ্য নিয়ে অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়া সহজ হবে হ্যাকারদের জন্য।
ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন না
ফ্রি ওয়াইফাই পেলে খুশি হন কেউ কেউ। কিন্তু এর মাধ্যমে ফোন হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। তাই কোথাও পাসওয়ার্ড ছাড়া ওয়াইফাই কানেকশন পেলেও সংযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। ফ্রি ওয়াইফাইয়ে সংযোগ স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফোনের অনেক তথ্য চলে যায় ওয়াইফাই রাউটারে। সেখান থেকে আপনার ফোনের আইপি অ্যাড্রেস নিয়ে খুব সহজেই হ্যাকাররা ফোনের তথ্য চুরি করতে পারে।
অ্যাপ লক
ব্যক্তিগত তথ্য কোনো অ্যাপের মধ্যে রাখুন। পরে অ্যাপগুলো পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রাখুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাপগুলোয় অনেক ব্যক্তিগত তথ্য থাকে।
মো. ইমরান হোসেন