Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 8:48 pm

হ া ও য় া  ব দ ল: কুমিল্লা

দেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ কুমিল্লা। উপমহাদেশের বিখ্যাত সড়ক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড এ শহরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে।

যা দেখবেন

কবি তীর্থ, শালবন বিহার, আনন্দ বিহার, লালমাই পাহাড়, চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, রানি ময়নামতি প্রাসাদ, মরানীর কুঠি, বলেশ্বর দিঘি, কোটিলা মুড়া, চারপত্র মুড়া, রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, জাহাপুর জমিদার বাড়ি, ভোজরাজার বাড়ি, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, ময়নামতি জাদুঘর প্রভৃতি ঐতিহাসিক ও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের ভাণ্ডার কুমিল্লা। এ জেলার গোমতী, ডাকাতিয়া ও কাঁকরী নদীর সৌন্দর্যও কম নয়।

যেভাবে যাবেন

রাজধানী থেকে কুমিল্লার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। সড়কপথে ঢাকা থেকে দূরত্বও বেশি নয়, মাত্র ৯৭ কিলোমিটার। কমলাপুর থেকে বিআরটিসি, উপকূল এসি পরিবহনের বাস ছেড়ে যায়। সায়েদাবাদ থেকে তিশা, এশিয়া লাইন এসি-ননএসি, প্রিন্স, প্রাইম, কর্ডোভা পরিবহনের বাস চলাচল করে। সায়েদাবাদ থেকে বেশকিছু লোকাল পরিবহনও নিয়মিত যাতায়াত করে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ১৫ মিনিট পরপর ছেড়ে যায় বাসগুলো।

রেলপথেও কুমিল্লা যেতে পারেন। মহানগর প্রভাতী, মহানগর গোধূলি, তূর্ণা নিশীথা, উপকূল এক্সপ্রেস, চট্টলা মেইল, কর্ণফুলী লোকাল প্রভৃতি ট্রেন কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়।

যেখানে থাকবেন

রূপসী বাংলা ও ওয়েস্টিনের মতো নামকরা হোটেলের পাশাপাশি আছে হোটেল রেড রুফ ইনও। এছাড়া হোটেল কিউ প্যালেস, রেইসকোর্স, আমানিয়া রেস্ট হাউজ, হোটেল ড্রিমল্যান্ড, নিদ্রাবাগ, সোনালী, নূর, সুগন্ধা, জালালাবাদ, গোমতী, সাগরিকা উল্লেখযোগ্য। আর সরকারি পর্যায়ে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে উঠতে পারেন। খাবার-দাবারের জন্য ভালোমানের কিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে কুমিল্লা শহরে। ঘোরাফেরা শেষে নিয়ে আসতে পারেন কুমিল্লার খাদি, রসমালাই ও মাটির তৈরি নানা ধরনের শোপিস।