ভাওয়াইয়া গানের জেলা কুড়িগ্রাম। ভারতের সঙ্গে এ জেলার সীমান্ত রয়েছে। হাডুডু, ছি-সাত্তা, চেঙ্গুপেন্টি, ডাংগুলি, গোল্লাছুট, কানামাছি, ছাগলদাড়ি, আটকোটা, ইডুনগাইন, নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, ইচিংবিচিংসহ নাম না জানা আরও অনেক খেলা আজও প্রচলিত আছে এ জেলায়। এ জনপদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আপনাকে সমৃদ্ধ করবে নিশ্চিত। তাই কুড়িগ্রাম হতে পারে হাওয়াবদলের উৎকৃষ্ট স্থান।
যা দেখবেন
অনেক দর্শনীয় স্থান ছড়িয়ে আছে কুড়িগ্রামে। যেমন ধরলা ব্রিজ, ধরলা বাঁধ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, চান্দামারী মসজিদ, কোটেশ্বর শিবমন্দির, পাঙ্গা জমিদারবাড়ি, ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদারবাড়ি, টুপামারী, মুন্সিবাড়ী, ধাম শ্রেণি মন্দির, জালার পীরের দরগাহ, উদুনা-পুদুনার বিল, বেহুলার চর, ভিতরবন্দ জমিদারবাড়ি, সোনাহাট ব্রিজ, ফুলসাগর, নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ি, চতুর্ভুজ সেনপাড়া শিবমন্দির, ধলডাঙ্গাবাজার, কালজানি ঘাট, চিলমারী বন্দর, জয়মনিরহাট জমিদারবাড়ি প্রভৃতি।
জেলার নদনদীর আবেদনও কম নয়। প্রধান নদনদীগুলো হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমার, সোনাভরি, জিঞ্জিরাম, গঙ্গাধর ও হলহলিয়া। এছাড়া নীলকমল, শিয়ালদহ, কালজানি, জলছিরা ও ধরণি এ জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে।
কুড়িগ্রামের সংস্কৃতির বড় অংশজুড়ে রয়েছে অনেক মেলা। মেলার মধ্যে অন্যতম সিন্দুরমতির মেলা, মাদাইখালের মেলা, মাসানকুড়ার মেলা, গাজীর মেলা, দশহরার মেলা, চেংরার মেলা, সিদ্ধেশ্বরীর মেলা, কালীর মেলা, শিবের মেলা, ডাহার মেলা প্রভৃতি।
যেভাবে যাবেন
সড়কপথে যেতে পারেন কুড়িগ্রাম। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে হক, জবা, এসবি, মোল্লা, হানিফ ও নাবিন পরিবহনের বাস ছেড়ে যায় কুড়িগ্রামের উদ্দেশে।
যেখানে থাকবেন
থাকার জন্য কিছু হোটেল রয়েছে কুড়িগ্রামে। এর মধ্যে হোটেল আকাশ, ডিকে, স্মৃতি, মেহেদী, আরজি, নিবেদিকা, অর্ণব প্যালেস, বসুন্ধরা, মিতা রেস্ট হাউজের মান উন্নত।
যা খাবেন
কুড়িগ্রামে বেড়াতে গিয়ে দুধপিঠা খেতে ভুলবেন না। এছাড়া দেশে প্রচলিত অন্য সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় এ জেলায়।
Add Comment