হাওয়া বদল: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

ধ্রুব দাস: ‘আলকাপ’-এর নাম শুনেছেন নিশ্চয়। এটি এক ধরনের হাস্যরসাত্মক লোকসংগীত। আজও বছরের বিভিন্ন সময়ে সারা রাত ধরে আলকাপের আয়োজন করা হয়। এই মনোরম সংগীত উপভোগের জন্য যেতে হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এখানকার আতিথেয়তা চমৎকার। ‘আমের দেশ’টি হতে পারে হাওয়া বদলের চমৎকার স্থান।

যেভাবে যাবেন

চাঁপাই নামে তুলনামূলক বেশি পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তবে সরকারি নথিপত্রে আজও শুধু ‘নবাবগঞ্জ’ নামই রয়েছে জেলাটির। বিমানযোগে যেতে চাইলে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথমে রাজশাহী যেতে হবে। সেখান থেকে বাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রেলপথের বেলায়ও একই বিষয় প্রযোজ্য। এজন্য প্রথমে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে নামতে হবে।

সড়কপথে সরাসরি চাঁপাইনবাবগঞ্জে যেতে পারেন। দেশ ট্রাভেলস, হানিফ, মডার্ন, লতা, নাহার, সাথী, দূরদূরান্ত, শ্যামলী প্রভৃতি পরিবহনের বাসে যেতে পারেন। রাজধানীর কল্যাণপুর, কলাবাগান, গাবতলীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে যায় এসব বাস। প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত আধা ঘণ্টা অন্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বাসগুলো। জেলার আভ্যন্তরীণ যোগাযোগও সড়কপথনির্ভর। নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ রয়েছে।

যা দেখবেন

ছোট সোনা মসজিদ, দারসবাড়ী মসজিদ, খঞ্জনদিঘির মসজিদ, চামচিকা মসজিদ, ছোট সোনা মসজিদ, সোনা মসজিদ স্থলবন্দর, তিন গম্বুজ মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধি, ষাঁড়বুরুজ, তাহখানা কমপ্লেক্স, কোতোয়ালি দরওয়াজা, শাহ নেয়ামতউল্লাহ (রহ.)-এর মাজার, আমবাগান, রহনপুর রেলবন্দর, ভারতীয় সীমানা প্রভৃতি। এছাড়া পদ্মা, মহানন্দা, পুনর্ভবা ও পাগলা নদীর পাশাপাশি কয়েকটি বিল ও জলাভ‚মি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিলভাতিয়া, চড়–ইল, সিংড়া, হোগলা, পুঁটিমারি, আনইল, মরিচাদহ, কুমিরাদহ প্রভৃতি।

যেখানে থাকবেন

সার্কিট হাউজ, সরকারি বিভিন্ন বিভাগের রেস্ট হাউজ, জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজসহ হোটেল রোজ, আল নাহিদ, নাজমা, স্বপ্নপুরী, রংধুন, নবাবগঞ্জ বোর্ডিং, লাল বোর্ডিং প্রভৃতি থাকার জন্য উন্নতমানের।

যা খাবেন

দেশে প্রচলিত সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় এখানে। সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের দিকে গেলে চমচম খেয়ে আসতে ভুলবেন না। জেলার বিখ্যাত কালাইরুটির স্বাদ চেখে দেখবেন নিশ্চয়ই।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০