হ া ও য় া ব দ ল: নীলফামারী

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ নীলফামারী। জেলার ভূপ্রকৃতিও অসাধারণ। অনেক চিত্তাকর্ষক ও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে এখানে। তাই ‘নীলের দেশ’খ্যাত নীলফামারী হতে পারে হাওয়াবদলের এক উৎকৃষ্ট স্থান।

 

যা দেখবেন

এখানে রয়েছে প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো নীলকুঠি। ভবনটির চুনসুরকি একটুও খসে পড়েনি। আজও তা অটুট রয়েছে। এর পাশাপাশি দেখতে পাবেন চিনি মসজিদ, নীল সাগর, জাদুঘর, ধর্মপালের গড়, কুন্দুপুকুর মাজার, হরিশ্চন্দ্রের পাঠ, ময়নামতীর দুর্গ, ভীমের মায়ের চুলা প্রভৃতি। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা, বামনডাঙ্গা, চারালকাটা, শালকী, দেওনাই, ঘাঘটসহ কয়েকটি নদ-নদী।

 

যেভাবে যাবেন

আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য রেলপথ বেছে নিতে পারেন। ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনার সঙ্গে নীলফামারীর রেল যোগাযোগ রয়েছে। সড়কপথেও যেতে পারেন। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রিনলাইন, হানিফ, নাবিল, খালেক, বাবলু, নাদের, বিআরটিসি, শ্যামলী, রূপালী, দ্রুতি, তুহিন, এসএ হক, আগমনী প্রভৃতি পরিবহনের এসি ও নন-এসি বাস ছেড়ে যায় নীলফামারীর উদ্দেশে।

জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত। মিশুক, টেম্পো, মিনিবাস কিংবা রিকশায় চড়ে জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোয় যেতে পারবেন। সড়কপথ ছাড়াও জেলা শহরের সঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা ও চিলাহাটির রেল যোগাযোগ রয়েছে।

 

যেখানে থাকবেন

সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ভালো মানের বেশ কয়েকটি থাকার জায়গা রয়েছে এখানে। থাকার জন্য অবকাশ, শিশির, আর রহমান, বনফুল, সম্রাট, আলা জাহারা, রানা, জসিম, আরাফাত, শান্তা, বিশ্রাম, সৌরভ, সৌদিয়া প্রভৃতি হোটেলের পাশাপাশি তালুকদার রেস্টহাউজ, নাভানা রেস্টহাউজ, রনি বোর্ডিং, চৌধুরী রেস্টহাউজ ও আলম বোর্ডিং উন্নতমানের।

 

যা খাবেন

নীলফামারীর খাবারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর দামে। খাবারের দাম তুলনামূলক কম। স্বাদও অতুলনীয়। দেশে প্রচলিত প্রায় সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় এখানে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০