বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পুন্ড্র, গুপ্ত, পাল, সেন, মুসলিম শাসকদের অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে এখানে। অতীতের গৌরব-গাথার সাক্ষী হতে চাইলে ঘুরে আসুন পঞ্চগড় থেকে।
যা দেখবেন
পঞ্চগড় থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায় ভারতের কাঞ্চনজঙ্ঘা। এখানে রয়েছে সমতল ভূমিতে চা বাগান। বাংলাদেশের একমাত্র রকস মিউজিয়াম এ জেলায়। আরও রয়েছে মির্জাপুর শাহী মসজিদ, ভিতরগড়, মিরগড়, মহারাজার দীঘি, বারআউলিয়ার মাজার, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর প্রভৃতি। করতোয়া, তালমা, চাওয়াই, পাঙ্গা, কুরুম, পাম, পাথরাজ, ঘোড়ামারা, আতরাই, ভূল্লী, নাগর, সিঙ্গিয়া, রসেয়া, মহানন্দা, ডাহুক, তিরনই, রনচন্ডি, বেরং, জড়োপানি, সাও প্রভৃতি নদ-নদী বয়ে গেছে জেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে। মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ডাকবাংলো থেকে ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়।
যেভাবে যাবেন
রাজধানী থেকে সড়কপথে পঞ্চগড়ে যেতে পারেন। শ্যামলী, কলেজ গেট কিংবা গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে নাবিল, হানিফ, শ্যামলী, বাবলু পরিবহনের বাস ছেড়ে যায় পঞ্চগড়ের উদ্দেশে।
আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য রেলপথে যেতে পারেন। তবে এজন্য রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দিনাজপুরগামী আন্তনগর ট্রেনে চড়তে হবে। দিনাজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বাসে চড়ে পঞ্চগড়।
বিমানপথেও যেতে পারেন। প্রথমে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যেতে হবে। এরপর
বাসযোগে পঞ্চগড়।
যেখানে থাকবেন
সার্কিট হাউজ, রেস্ট হাউজ, ডিসি কটেজ, ডাকবাংলো, পিকনিক কর্নার প্রভৃতি রয়েছে থাকার জন্য। এছাড়া কয়েকটি উন্নতমানের হোটেলও রয়েছে। এর মধ্যে মৌচাক, হিলটন, রাজনগর, প্রিতম, অভিনন্দন, আসফি, রোকসানা, নীরব, আলামিন, আলম, মুনস্টার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
যা খাবেন
দেশে প্রচলিত প্রায় সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় পঞ্চগড়ে। খাবারের দাম তুলনামূলক কম।
Add Comment