হ া ও য় া ব দ ল: লালমনিরহাট

ইচিং-বিচিং, গোল্লাছুট, বুড়ি-ছি, কানামাছি, কিতকিত, ছোপাছুপি, ইকরি-বিকরি, ব্যাঙঝাঁপ, চড়–ইভাতি প্রভৃতি খেলা নগর থেকে বিলুপ্তপ্রায়। তবে সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে কিছুটা হলেও এসব খেলার প্রচলন আছে। এছাড়া বহুল আলোচিত তিস্তা এ জেলার প্রধান নদী। এর বাইরেও পর্যটককে হাতছানি দিয়ে ডাকে এমন অনেক নিদর্শন ও ঐতিহ্য রয়েছে এ জেলায়। তাই হাওয়াবদলের জন্য ঘুরে আসতে পারেন লালমনিরহাট থেকে।

যা দেখবেন

মোগলহাট জিরো পয়েন্ট, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিবহ বিমানঘাঁটি, তিস্তা রেলওয়ে সেতু, বিরল প্রজাতির বৃক্ষ নাগলিঙ্গম, কুতুবখানা, সিন্দুরমতি, জাদুঘর, কাকিনা জমিদার বাড়ি, তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি, কবি শেখ ফজলল করিমের বাড়ি, তিনবিঘা করিডোর, খেতু মুহাম্মদ সরকার সেতু, বুড়িমারী স্থলবন্দর, তিস্তা ব্যারাজ, ডালিয়া ব্রিজ, শালবন, হালা বটের তল প্রভৃতি।

বিভিন্ন সময়ে নানা মেলা বসে লালমনিরহাটে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিন্দুরমতির মেলা, সুকানদীঘির মেলা, গড়কাটা মাষাণের মেলা, বুড়ির মেলা, মাষাণের মেলা, দশহরার মেলা, বারুনীর মেলা, বদ্দনাথ মেলা, ত্রয়োদশীর মেলা, পাটেশ্বরী মেলা, চড়কের মেলা, রাস মেলা, মহরমের মেলা, হামার লালমনি মেলা প্রভৃতি।

যেভাবে যাবেন

সড়কপথে রাজধানীর গাবতলী, কলেজগেট, টেকনিক্যাল, সায়েদাবাদ ও কল্যাণপুর থেকে শাহ আলী, হানিফ, খালেক, উত্তরবঙ্গ,

লালমনি, বাবলু, সাদ্দাম, শুভ, এসআর, দ্রুতি, ডিআর, রোজিনা, মডার্ন প্রভৃতি পরিবহনের বাস ছেড়ে যায় লালমনিরহাটের উদ্দেশে। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাতÑবিভিন্ন সময়ে ছেড়ে যায় এসব পরিবহনের বাস।

আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য রেলপথ বেছে নিতে পারেন। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন বা বগুড়ার সান্তাহার রেলস্টেশন থেকে লালমনিরহাট যেতে পারেন। তাছাড়া রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের রেলযোগাযোগ রয়েছে।

যেখানে থাকবেন

হোটেল রূপসী বাংলা ও নর্থবেঙ্গল গেস্ট হাউসসহ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০