সুরমা, কুশিয়ারা, কালনী, চলতি, যাদুকাটা, রক্তি, মরাচোলা, খাসিয়ামারা, বৌলাই, পাটলাই, দাড়াইন, কংস প্রভৃতি নদ-নদী সুনামগঞ্জকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে। জেলার বেশিরভাগ অঞ্চল হাওর, বাঁওড় ও অপেক্ষাকৃত নিচু অঞ্চল নিয়ে গঠিত বিধায় বছরের অধিকাংশ সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকে। বর্ষা মৌসুমে গ্রামগুলোকে এক একটি দ্বীপের মতো মনে হয়। এ অঞ্চলটি দেখতে চাইলে ঘুরে আসুন।
যা দেখবেন
হাছন রাজার বাড়ি সুনামগঞ্জে। বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমেরও। আরও রয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওর, লাউড়ের গড়, টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ড, ডলুর স্মৃতিসৌধ, দোহালিয়া জমিদার মসজিদ, ধলমেলা অনুষ্ঠানস্থল, টেকেরহাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প, পনাতীর্থ ধাম, গৌরারং জমিদারবাড়ি, ভাটিপাড়া জমিদার বাড়ি, নারায়ণতলা মিশন, টাউনহল জামে মসজিদ, আছিম শাহের মাজার, সৈয়দ উমেদ হারুন বোগদাদী (রহ.) মাজার প্রভৃতি।
যেভাবে যাবেন
রাজধানী থেকে সরাসরি সড়কপথে যেতে পারেন সুনামগঞ্জ। সরাসরি রেল ও বিমানে যাওয়া যায় না। তবে আরামদায়ক
ভ্রমণের জন্য রেলপথ বা আকাশপথে প্রথমে সিলেট যেতে পারেন। সেখান থেকে সড়কপথে সুনামগঞ্জ।
রাজধানী থেকে সড়কপথে মামুন, শ্যামলী, নাসিরাবাদ, এনাসহ বিআরটিসি পরিবহনের বাসে চড়ে যেতে পারেন সুনামগঞ্জ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব বাস চলাচল করে। মূলত ঢাকার গাবতলী, সায়দাবাদ, মহাখালী, উত্তরা, ফকিরাপুল, কল্যাণপুর প্রভৃতি স্থান থেকে ছেড়ে যায় বাসগুলো।
যা খাবেন
দেশের প্রচলিত সব খাবারই পাওয়া যায় সুনামগঞ্জে। স্থানীয় কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবারও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ করা যায় দেশবন্ধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কথা। শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট গলির কাছে রয়েছে এ মিষ্টির দোকান। এটি বলার স্টল নামেও পরিচিত। সুনামগঞ্জে বেড়াতে গেলে এ মিষ্টি চেখে আসতে ভুলবেন না। ফেরার সময় বন্ধু-বান্ধবের জন্য নিয়ে আসতে পারেন।
Add Comment