শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ প্রতিরোধের টিকাদানে ১০০ কোটি ডোজের মাইলফলক স্পর্শ করল ভারত। কর্মসূচি শুরুর মাত্র ১০ মাসের মধ্যেই প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ এবং ৩০ শতাংশকে দুই ডোজ করে টিকা দিয়েছে দেশটি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের কোউইন ওয়েবসাইটে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর: এনডিটিভি, বিবিসি।
টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের এ অর্জন নিয়ে টুইট করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মানদাভিয়া। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ভারত! এটা আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ফসল।’
ভারত সরকার চলতি বছরের মধ্যে দেশটির ৯৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সবাইকে টিকার আওতায় আনতে চায়। চলতি মাসে দৈনিক গড়ে ৫০ লাখ ডোজ করে করোনার টিকা প্রয়োগ করছে ভারত।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি করোনারোধী টিকাদান অভিযান শুরু করে ভারত। যদিও টিকাদান-সংক্রান্ত ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ফর ফোকাসড রিসার্চ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের এপ্রিলে।
ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) অনুমোদনে এ কর্মসূচিতে তিনটি টিকা ব্যবহƒত হয়েছে। সেগুলো হলোÑব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তিতে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার উৎপাদিত কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের আবিষ্কৃত কোভ্যাক্সিন ও রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা।
করোনা মহামারি থাকবে ২০২২ সালেও: এদিকে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুতে গত ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে বিপর্যয়ের মধ্যে আছে গোটা বিশ্ব। সবাই আশায় আছে দ্রুত এ মহামারির অবসানের; কিন্তু সেই আশায় কার্যত পানি ঢেলে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউিএইচও)।
জাতিসংঘভিত্তিক এ সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডা. ব্রুস আইলওয়ার্ড এক সাক্ষাৎকারে বিবিসিকে জানিয়েছেন, এখনও বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশ করোনা টিকার কোনো ডোজ পায়নি। টিকার ডোজের মজুত না থাকায় টিকাদান কর্মসূচি শুরুই করতে পারেনি, এমন দেশের সংখ্যাও কম নয়। ফলে বিশ্বজুড়ে টিকা বণ্টনের যে বর্তমান চিত্র, তাতে খুব সহজেই বোঝা যায়, ২০২২ সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে করোনা নির্মূল হবে না।
তিনি আরও বলেন, টিকাদান কর্মসূচির গতি ও বিস্তৃতি যদি বাড়ানো না হয়, সেক্ষেত্রে আগামী ২০২২ সালেও আমাদের মহামারির মধ্যেই বসবাস করতে হবে।
