নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণে তিনটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩১ কোটি ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৯২ টাকা। গতকাল ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে ৪টি উপস্থাপন) ১৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চারটি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের তিনটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনটি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৮১৬ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৫ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) হতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৮৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণ ১ হাজার ৩১ কোটি ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৯২ টাকা।
অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১: (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-ডব্লিউ১এ লট-১ এর পূর্ত কাজ চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে ৬০১ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার ৪৪ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া একই প্রকল্পের লট-২ এর পূর্ত কাজ যৌথভাবে পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপসাগরীয় গালফ কোবলা এবং বাংলাদেশের কর্ণফুলী। এতে ব্যয় হবে ১৫৪ কোটি ২১ লাখ ৩৫ হাজার ১৬৪ টাকা।
অপর এক প্রস্তাবে লট-৩ এর আওতায় চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণের পূর্ত কাজ পেয়েছে যৌথভাবে ভারতের ধরিত্রী ড্রেজিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং বাংলাদেশের বঙ্গ ড্রেজার লিমিটেড। এতে ব্যয় হবে ২৭৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৪ টাকা।