চট্টগ্রাম বন্দর

১০৬ টন জিপি শিটের পরিবর্তে এলো ২২৫ প্যাকেট টাইলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : ঢাকার বংশালের কামাল স্টিল হাউস হংকং থেকে আমদানি করে ১০৬ টন কোটেড জিপি শিট। এসব শিট পাঁচটি কনটেইনারে করে চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা। কিন্তু বন্দরে কনটেইনারগুলো খুলে পাওয়া গেল মাত্র ২২৫ প্যাকেট টাইলস। এই পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ইউনিকো ইন্টারন্যাশনাল।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, কনটেইনারে ঘোষিত জিপি শিটের ওজন ছিল এক লাখ ৬ হাজার ১৮০ কেজি, যার বিপরীতে ৫৩ শতাংশ শুল্কহারে সোনালী ব্যাংক কাস্টম হাউস শাখায় গত ১১ জুন ৪২ লাখ ২২ হাজার ৩৮০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ইউনিকো ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষ করে পাঁচ কনটেইনার মালামাল খালাস করতে গেলে দেখা যায়, কনটেইনারে ঘোষিত পণ্য নেই। প্রতি কনটেইনারে ৪৫ প্যাকেট করে মোট ২২৫ প্যাকেট টাইলস পাওয়া যায়। আমদানিকারক এনসিসি ব্যাংক থেকে প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন ডলার ঋণপত্র খোলে। এমভি মেরিন তারাবা জাহাজে চালানটি বন্দরে পৌঁছায়। ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে টাকা পাচার করে দেওয়া হয়েছে অথবা সরবরাহকারীর ভুলের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরুল হোসাইন শেয়ার বিজকে বলেন, ‘টাকা পাচার হইছে মনে হচ্ছে না। কারণ আমদানিকারক ইতোমধ্যে কাস্টমসে শুল্ক পরিশোধ করেছেন। এছাড়া আমদানি মূল্য ও শুল্ক মূল্যের প্রায় সমান। হয়তো সরবরাহকারীর ভুলও হতে পারে। এছাড়া কনটেইনারের সিলগালা ঘোষণা অনুযায়ী ঠিক ছিল। কিন্তু ভেতরে ঘোষিত পণ্যের সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনার পর আমদানিকারকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ঋণপত্রের বিপরীতে টাকা ছাড় না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। চীনের সরবরাহকারীরা ভুলে বা ইচ্ছে করে এমন কাজ করতে পারে।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০