শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীন তার পরমাণু অস্ত্র নির্মাণ প্রকল্পকে শক্তিশালী করছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটি এক হাজারেরও বেশি পারমাণবিক বোমা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। ‘মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্টস ইনভলভিং দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না (পিআরসি), ২০২১’ নামের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ফাঁস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগন। খবর: বিবিসি, রয়টার্স।
এক প্রতিবেদনে পেন্টাগন জানিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে পারমাণবিক প্রকল্প উন্নয়নে বড় মাত্রায় বিনিয়োগ শুরু করেছে চীন। ওই বছর দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০০ পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর লক্ষ্য নিয়েছিল। চলতি বছর চীন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে পেন্টাগন।
এ খাতে দেশটি প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে বলে উল্লেখ করে পেন্টাগনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিসহ বোমা উৎক্ষেপণের জন্য জল-স্থল ও আকাশপথে প্ল্যাটফরম নির্মাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে চীন।’
পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের পাশাপাশি জাতীয় সেনাবাহিনী চায়না’স পিপলস লিবারেশন আর্মির সদস্যসংখ্যাও বাড়াচ্ছে দেশটি।
তাইওয়ান দ্বীপে চীনের দখলদারিত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব যখন চরম পর্যায়ে, সে সময় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করল পেন্টাগন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চীন যদি তাইওয়ানে সামরিক অভিযান শুরু করে, সেক্ষেত্রে তাইওয়ানকে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল তাইওয়ানে আনুষ্ঠানিক সফরে যাওয়া ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রথম প্রতিনিধিদল তাইপের ওপর বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে স্বশাসিত দ্বীপটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কূটনৈতিকভাবে প্রায় বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান ‘একা নয়, ইউরোপ পাশে আছে’ বলে মন্তব্যও করেছে তারা।
ভ্যাটিকান সিটি ছাড়া ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা তাইওয়ানও ইইউ’র সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় করতে আগ্রহী।
বাইডেনের সমালোচনার কড়া জবাব চীনের: এদিকে জলবায়ু সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অনুপস্থিত থাকায় যে সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার জবাব দিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চীন কাজে বিশ্বাসী, মৌখিক আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতিতে নয়। যারা কাজে বিশ্বাস করে, তারা তাদের সক্রিয় কার্যক্রম দিয়েই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে।’
